পাতা:নেতাজী ও আজাদ হিন্দ ফৌজ - জ্যোতিপ্রসাদ বসু.pdf/৬০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

সভাপতি থাকবেন ততদিন তিনি এর বিরুদ্ধে সব রকম উপায়ে বাধা দেবেন। এবং তাঁর সঙ্গে অধিকাংশ প্রদেশই যে যোগ দেবে এ বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই। কারণ বর্তমানে তিনি অভাবনীয় জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন। তাই আবার যখন নির্বাচনের সময় এল তাঁরা প্রস্তাবিত সুভাষবাবুর নামের সঙ্গে আরও দুজনের নাম প্রস্তাব করলেন যথা— মৌলানা আজাদ এবং পট্টভী সীতারামীয়া···। মৌলানা আজাদের প্রশ্ন ভিন্ন কিন্তু সীতারামীয়ার নাম সুভাষবাবুর সঙ্গে একই সঙ্গে উঠতে পারে না। তবু তাঁরা জানতেন যে এমন একজনকে সভাপতি করা দরকার যিনি তাঁদের কথা মত চলবেন। আজাদ তাঁর নাম প্রত্যাহার করলেন স্বাস্থ্যের অজুহাত দেখিয়ে। কিন্তু তিনি যে বিবৃতি দিলেন তাতে স্পষ্ট বোঝা গেল যে আসলে ভেতরে ভেতরে একটা কিছু ষড়যন্ত্র চলছে। তিনি বললেন, ডাঃ পট্টভী সীতারামীয়ার নামও প্রস্তাব হয়েছে শুনে আমি খুব আনন্দ বোধ করছি। আমি অমার নাম প্রত্যাহার করবো না মনে করে তিনি তাঁর নাম প্রত্যাহার করতে মনস্থ করেছেন; তবে আমি আনন্দের সঙ্গে বলছি যে আমি তাঁকে তা না করতে রাজী করেছি। তিনি কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির বহু পুরাতন সভ্য এবং অক্লান্ত বর্মী। আমি নির্বাচনের জন্য তাঁর নাম প্রতিনিধিদের সামনে উপস্থাপিত করছি, এবং আশা করি তিনি সবসম্মতিক্রমে নির্বাচিত হবেন।

 সুভাষবাবু প্রত্যুত্তর দিলেন,— আর কোনরকম বিনয় প্রকাশের অবকাশ নেই। এবার রীতিমত নির্বাচন!···যদি মৌলানা আজাদের মত নেতাদের কথামত লোকে আমার বিরুদ্ধে ভোট দেয় তাহলে আমি অতি সাধারণ বাধ্য কর্মীর মত কংগ্রেসের কাজ করে যাবো।

 দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ তরুণ সম্প্রদায় ও জাতীয়তাবাদী দল সুভাষবাবুর দিকে আর অপরদিকে মুষ্টিমেয় নেতার দল। কিন্তু এই নেতারা জানতেন ব্যক্তিগত প্রভাবের জোরে সুভাষবাবুর দল কোনও রকম প্রচার কার্য না চালালেও ভারী হয়ে উঠবে। তাই তাঁরা সকলে মিলে এক যুক্ত বিবৃতি বের করে নিজেদের

৫৪