পাতা:নেতাজী ও আজাদ হিন্দ ফৌজ - জ্যোতিপ্রসাদ বসু.pdf/৬৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

করে যে কংগ্রেসে ভাঙ্গন ধরেছে তাই আমি স্পষ্ট করে ঘোষণা করছি যে কংগ্রেস আগের মতই এখনও সঙ্ঘবদ্ধ আছে। কংগ্রেস কর্মীদের মধ্যে কয়েকটা ব্যাপারে মতানৈক্য থাকতে পারে কিন্তু যখনই বৃটিশ সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে সংগ্রামের প্রশ্ন ওঠে তখন সকলেই একমত, একতাবদ্ধ!

 কোলকাতায় এক সম্বর্ধনা সভায় ঠিক এই কথারই পুনরাবৃত্তি করলেন তিনি। উপরন্তু বললেন, এই জয়লাভের দিনে এমন কোন কথা বলা বা কাজ করা উচিৎ নয যাতে অন্যের মনে আঘাত লাগে অথবা কোন ব্যক্তি বিশেষের ওপব কোন প্রতিক্রিয়া আসে।

 কিন্তু তিনি এতবার সাবধান করে দিলেও সাধারণ লোকের অনেকেই এত উচ্চ মন নিয়ে একে গ্রহণ করতে পারলে না। সমস্ত দেশময় একটি কথা শুধু ছড়িয়ে পড়লো—একটি প্রশ্ন—দক্ষিণ পন্থীদের দিন কি ফুরিয়ে এল? গান্ধীবাদের এই কি শেষ? অনেক সংবাদপত্রে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হল যে সত্যিই গান্ধীজীর দিন ফুরিয়ে এসেছে। গান্ধীবাদ আজকের দিনে অচল, ইত্যাদি। কিন্তু সুভাষবাবু এই ধরণের প্রচার কার্যের বরাবরই বিপক্ষে ছিলেন। তিনি বললেন, সর্বদাই আমার লক্ষ্য হবে তাঁর (মহাত্মাজীর) বিশ্বাস অর্জন করা কারণ আমি জানি যে যদি আমি ভারতের শ্রেষ্ঠ মানুষের মনই না জয় করতে পারি তাহলে অপর সকলের বিশ্বাস অর্জন করা বিড়ম্বনা মাত্র।

 সুভাষবাবু ব্যাপারটাকে এত উদার ভাবে গ্রহণ করলে কি হবে অন্যান্য কংগ্রেস নেতারা বিষয়টা এত সরলভাবে নিতে পারলেন না — এমন কি গান্ধীজী এই সম্বন্ধে যে মতামত দিয়েছিলেন তা শুধু বিস্ময়কর নয়—সমস্ত কংগ্রেস প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বিরাট এক ভাঙ্গনের সহায়ক মাত্র! গান্ধীজী বললেন, আমি স্বীকার করছি এই পুনর্নির্বাচনের গোড়া থেকেই আমি কয়েকটা কারণে,— যে কারণ এখন আমি বলার প্রয়োজন বোধ করি না—এর বিরুদ্ধে যেহেতু আমিই ডাঃ সীতারামীয়াকে নাম প্রত্যাহার করতে বিরত করার নিমিত্ত

৫৭