পাতা:নেতাজী ও আজাদ হিন্দ ফৌজ - জ্যোতিপ্রসাদ বসু.pdf/৭০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

কোলকাতা কংগ্রেসের কলঙ্কিত অধ্যায়ের শেষ যবনিকা পড়লো সুভাষচন্দ্রের পদত্যাগ ঘোষণা করে।

 ত্রিপুরীর মত, ভারতের আর একটি শ্রেষ্ঠ সন্তান জওহারলাল এবারেও এসে ছিলেন তাঁকে নিবৃত্ত করতে।

 কিন্তু, তীর তখন ছোঁড়া হয়ে গেছে লক্ষ্যের দিকে।


স্বরূপ

 লক্ষ্য কোন দিকে?

 স্বভাব-বিপ্লবী সুভাষচন্দ্র জীবন-আদর্শের সন্ধিক্ষণে এসে দাঁড়ালেন। কংগ্রেসের প্রাসাদের সব কয়টি প্রবেশদ্বারই তাঁর সামনে বন্ধ হয়ে গেছে, যে সোশ্যালিষ্ট পার্টিকে এযাবৎ বরাবর সমর্থন করে এসেছেন, তাদের কণ্ঠেও আজ ভিন্ন সুর। কমিউনিষ্ট পার্টি তাঁর কাছে বরাবরই পরিত্যাজ্য, তাহলে স্বদেশের মধ্যে বসে লক্ষ লক্ষ অনুরাগী দেশবাসীর মধ্যেই তিনি নির্বাসিত হয়ে গেলেন?

 কিন্তু, তিনি জানতেন পথ খোলা আছে। তিনি জানতেন ভারতের বিরাট তরুণ সম্প্রদায়ের কাছে উগ্রপন্থী বিপ্লবীদের কাছে তাঁর স্থান কোথায়? তিনি জানতেন কিষাণ মজুরদের মাঝখানে তাঁর প্রতিপত্তি কতখানি।

 এবং এই জানাজানির মধ্য থেকেই ফরওয়ার্ড ব্লকের শুভ আবির্ভাব।

 নাম থেকেই ধারণা করে নেওয়া যেতে পারে যে ফরওয়ার্ড ব্লক অর্থে যত অগ্রগামী দল আছে তাদের একটা সম্মিলিত প্রতিষ্ঠান! যতদিন তিনি রাজনীতি ক্ষেত্রে আছেন এবং বিশেষ করে দেশবন্ধুর পরলোক গমনের পর থেকে—তিনি সর্বদা কংগ্রেসের মধ্যে বামপন্থী দলের একটা ব্লক খাড়া করে তুলতে যত্নবান।

৬৪