পাতা:নেতাজী সুভাষ চন্দ্র - হেমেন্দ্রবিজয় সেন.pdf/১০৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
নেতাজী সুভাষচন্দ্র
৮৯

 রহমৎ খাঁ কহিলেন, “দাম?—কত দাম মনে নাই; তবে—ইহার দাম খুব বেশী নহে।”

 —“বটে! তাহা হইলে এই ঘড়ীটা আমায় দিন না? টাকা তো আপনারা আমাকে খুব বেশী কিছু দেন নাই!”

 উভয়েই বুঝিলেন, আর উপায় নাই! একবার যখন বাঘের নজর পড়িয়াছে, তখন আর ইহার রক্ষা নাই। কাজেই ঘড়ীটি তাহাকে দিতে হইল।

 এই ভাবে সেদিন কিছু মোটা মাল আদায় করিয়া সে চলিয়া গেল। রহমৎ খাঁও পরামর্শ অনুসারে উত্তমচাঁদের দোকানের খোঁজে বাহির হইয়া পড়িলেন।

 দোকান পাওয়া গেল বটে, কিন্তু উত্তমচাঁদ ছিলেন না, তাঁহার সঙ্গে দেখা হইল না। সেদিন আরও একবার তাঁহার খোজ করা হইল—কিন্তু একবারও তাঁহার দেখা পাওয়া গেল না।

 কনস্টেবলটি পরদিন আবার আসিয়া উদয় হইল। রহমৎকে দেখিয়াই সে কহিল, “খাঁ সাহেব, বড়ই বিপদ্ হইয়াছে! আচ্ছা, আপনার সেই ঘড়ীটার দাম কত ছিল বলিতে পারেন?”

 —“তাহা মনে নাই। কেন, কি হইয়াছে?”

 কনস্টেবল কহিল, “না, এমন কিছু নয়; তবে ঘড়ীটা দেখিতে ছিল বড়ই সুন্দর; কিন্তু তাহাতেই হইল যত বিপদ্! আমার দারোগা-সাহেব সেটি দেখিয়াই মুগ্ধ হইলেন, তিনি সেটি আমার নিকট হইতে লইয়া গিয়াছেন। যাহোক্,