পাতা:নেতাজী সুভাষ চন্দ্র - হেমেন্দ্রবিজয় সেন.pdf/১১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৯৪
নেতাজী সুভাষচন্দ্র

 তাহা ছাড়া, আরো একটা অসুবিধা এই যে, আমার স্ত্রী জার্ম্মাণ মহিলা—তিনি পর্দ্দানশীন নহেন। তাঁহাকে না জানাইয়া আপনাদিগকে বাড়ীতে রাখা—সে এক মহা সমস্যা! কাজেই আমি প্রথমে আমার এক মুসলমান বন্ধুর সাহায্য প্রার্থনা করিব। মুসলমানের বাড়ীতে মুসলমানের অবস্থান, একেবারেই সন্দেহজনক হইবে না।

 আমার সেই মুসলমান বন্ধুটিকে আমরা ‘হাজি সাহেব’ বলিয়া ডাকি। তিনি সত্তর বৎসর বয়স্ক এক বৃদ্ধ ব্যক্তি; এক জার্ম্মাণ মহিলাকে তিনি বিবাহ করিয়াছেন; চীন, জাপান, আমেরিকা, জার্ম্মাণী ইত্যাদি বহুদেশ তিনি দেখিয়াছেন—বিষম ব্রিটিশ-বিরোধী মনোভাবাপন্ন। ভারতের জাতীয় আন্দোলনে তাঁহার খুবই সহানুভূতি আছে। আমি তাঁহাকে একবার বলিয়া দেখিব। যদি সেখানে হয় ভালই,—না হইলে অগত্যা আমার এইখানেই ব্যবস্থা হইবে। যাহোক্, আপনি বিকাল বেলায় বোস্ বাবুকে লইয়া আসিবেন।”

 ভগৎরাম আশ্বস্ত হইয়া চলিয়া গেলেন; তিনি বলিয়া গেলেন, অপরাহ্নে ৪টার সময় তিনি বোস্ বাবুকে লইয়া আসিবেন।


 অপরাহ্ণ—প্রায় ৪টা, মাত্র দশ মিনিট বাকী আছে, এমন সময় রহমৎ খাঁর ছদ্মবেশে ভগৎরাম পুনরায় উত্তমচাঁদের দোকানে আসিয়া উপস্থিত হইলেন।