পাতা:নেতাজী সুভাষ চন্দ্র - হেমেন্দ্রবিজয় সেন.pdf/১১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
নেতাজী সুভাষচন্দ্র
৯৫

 উত্তমচাঁদ তাঁহাকে একাকী দেখিয়া বিস্মিতভাবে জিজ্ঞাসা করিলেন, “আপনি একা কেন? বোস্ বাবু কোথায়?”

 —“ঐ যে তিনি নদীর অপর তীরে দাঁড়াইয়া আছেন।” রহমৎ খাঁ বলিলেন।

 উত্তমচাঁদের বাড়ী তাঁহার দোকানের সঙ্গেই। দোকানের সম্মুখ দিয়া কাবুল-নদী প্রবাহিত হইয়াছে। নদীর উপরে একটি সেতু। উত্তমচাঁদ ও রহমৎ সেই সেতুর দিকে অগ্রসর হইলেন।

 সেতুর অপর প্রান্তে রহমৎ খাঁ যাঁহাকে বোস্ বাবু বলিয়া দেখাইয়া দিলেন, উত্তমচাঁদ তাঁহাকে দেখিয়া একেবারে বিস্মিত হইয়া গেলেন! তাঁহার বেশ-ভূষা, চেহারা—সম্পূর্ণই পাঠান। তাঁহাকে দেখিয়া পাঠান না ভাবিয়া অন্য কিছু মনে করিতে পারে, এমন সাধ্য কাহারও ছিল না! কে বলিবে ইনিই সুভাষচন্দ্র? তাঁহার সেই অতিপরিচিত চশমাটি পর্য্যন্ত নাই।

 যা হোক্, পরিপূর্ণ বিস্ময়ে অভিভূত হইয়া, শ্রদ্ধামুগ্ধ অন্তরে উত্তমচাঁদ তাঁহাকে অভ্যর্থনা করিয়া গৃহে লইয়া আসিলেন, এবং উপরে একটি কক্ষে সর্ব্বক্ষণ তালাবদ্ধ অবস্থায় তাঁহাদের থাকিবার ব্যবস্থা করিলেন।

 হাজি সাহেবের কথা জিজ্ঞাসা করিতেই উত্তমচাঁদ জানাইলেন যে, সেখানে সুবিধা হইল না। ভগৎরাম চলিয়া যাইবার পরক্ষণেই তিনি হাজি সাহেবের নিকট গিয়াছিলেন। তিনি এতদিন অনেক বড়-বড় কথা বলিতেন বটে, কিন্তু সুভাষ বাবুকে বাড়ীতে রাখিতে তিনি নানা আপত্তি ও অসুবিধার কথা তুলিয়াছেন। মোট কথা, একজন পলাতক