পাতা:নেতাজী সুভাষ চন্দ্র - হেমেন্দ্রবিজয় সেন.pdf/১১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
নেতাজী সুভাষচন্দ্র
৯৯

ব্যাপারটিকে চিন্তা করিবার জন্য তখনও কোন দিনস্থির করা হইল না।

 এমনই সময়ে একদিন—১৫ই মার্চ্চ, সীনর ক্যারণীর পত্নী আসিয়া সুভাষচন্দ্রকে একখানি পত্র প্রদান করিলেন।

 পত্রে ছিল সুভাষচন্দ্রের বহু-আকাঙিক্ষত সুসংবাদ; অক্ষশক্তির অন্তর্গত ইটালী ও জার্ম্মাণী—তাঁহার পাসপোর্ট মঞ্জুর করিয়াছেন।

 ১৮ই মার্চ্চ প্রাতে ৯টার সময় তিনি অক্ষশক্তির সাহায্যে আফগানিস্থান হইতে যাত্রা করিলেন। একজন ইতালীয় ও দুই জন জার্ম্মাণ—তন্মধ্যে এক জন অতি তীক্ষ্ণধী ডাঃ ওয়েলার—তাঁহার সহযাত্রী হলেন। পাসপোর্টে সুভাষচন্দ্রের নাম লিখিত হইল ‘ক্যারাটাইন’!

 এইভাবে বাংলার, তথা সমগ্র ভারতের সুভাষচন্দ্র, ছদ্মবেশী জিয়াউদ্দিন ও পরবর্ত্তী যাত্রাপথে ক্যারাটাইন্, স্বাধীনতার নেশায় উন্মত্ত হইয়া, স্বদেশ হইতে সুদূরে বিদেশের পথে সাময়িক ভাবে অন্তর্হিত হইলেন।

 তাঁহারা প্রথমে একখানি মোটরে চড়িয়া কবুল হইতে রাশিয়ার সীমান্ত-পথে যাত্রা করেন। রাত্রিটা মধ্যপথে ‘পুল খুমড়ী’ নামক স্থানে সকলেই বিশ্রাম করিলেন এবং পরদিন, ১৯শে মার্চ্চ, তাঁহারা রাশিয়ায় প্রবেশ করিলেন।

 ২০শে মার্চ্চ সুভাষচন্দ্র ট্রেণে গমন করিলেন মস্কৌ। ২৭শে মার্চ্চ তিনি মস্কৌ উপস্থিত হইলেন বটে, কিন্তু মাত্র একটি রাত্রির বেশী তিনি সেখানে কাটাইতে পারিলেন না।