পাতা:নেতাজী সুভাষ চন্দ্র - হেমেন্দ্রবিজয় সেন.pdf/১২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১০৪
নেতাজী সুভাষচন্দ্র

 ইহার পর রাসবিহারী বসুর সভাপতিত্বে টোকিওতে একটি সম্মেলন হয়। এই সম্মেলনে উল্লিখিত শুভেচ্ছা-দলের প্রতিনিধিবৃন্দ ছাড়াও হংকং, সাংহাই ও জাপান-প্রবাসী ভারতীয় প্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

 এই সম্মেলনে প্রস্তাব গৃহীত হয় যে, পূর্ব্ব-এসিয়া-প্রবাসী ভারতীয়গণের পক্ষে স্বাধীনতা-আন্দোলন আরম্ভ করিবার ইহাই প্রকৃষ্ট সময়; এই স্বাধীনতা হইবে পূর্ণ স্বাধীনতা এবং সকল প্রকার বৈদেশিক শাসন ও নিয়ন্ত্রণ হইতে সম্পূর্ণ মুক্ত; ভারতের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান এবং ক্রিয়াকলাপের অধিকারী হইতে পারিবে একমাত্র ভারতীয়গণের নেতৃত্বে এবং ভারতীয় স্বার্থে চালিত ‘স্বাধীন ভারতবাহিনী’ বা ‘আজাদ-হিন্দ ফৌজ’; সকল ক্ষমতা আজাদ-হিন্দ সঙ্ঘ পরিচালিত করিবে; আজাদ-হিন্দ সঙ্ঘের একটি কর্ম্ম-পরিষদ্ থাকিবে; এই কর্ম্ম-পরিষদ্ সামরিক প্রয়োজনে জাপানের নিকট হইতে নৌবল, বিমানবল প্রভৃতি চাহিতে পারেন, ইত্যাদি।

 এই সম্মেলন আরও একটি উল্লেখযোগ্য প্রস্তাব করেন যে, ভারতের ভবিষ্যৎ শাসন-তন্ত্র রচনা করিবার অধিকার ভারতভূমিতে স্বয়ং ভারতীয় নেতৃবৃন্দের উপরই বর্ত্তিবে; ভারতের জাতীয় কংগ্রেসই এই অধিকারের মালিক।

 ১৯৪২ সালের ১৫ই হইতে ২৩শে জুন পর্য্যন্ত ব্যাঙ্ককে একটি প্রতিনিধি-সম্মেলন বসে। জাপান, মাঞ্চুকুও, হংকং, বোর্ণিও, জাভা, মালয় ও শ্যাম হইতে ১০০ জন প্রতিনিধি