পাতা:নেতাজী সুভাষ চন্দ্র - হেমেন্দ্রবিজয় সেন.pdf/১২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
নেতাজী সুভাষচন্দ্র
১০৭

 জাপান উত্তরে কতকগুলি মামুলী জবাব জানাইয়াছিল; কিন্তু কর্ম্ম-পরিষদ্ জাপানী গভর্ণমেণ্টের ঐ মামুলী জবাব সন্তোষজনক বলিয়া গণ্য করিতে পারেন নাই।

 (২) সম্পূর্ণভাবে জাপানীগণ-কর্ত্তৃক পরিচালিত ‘ইয়াকুরোকিকান’ নামক ‘লায়াসন’ ডিপার্টমেণ্টের অফিসারগণ আজাদ-হিন্দ ফৌজের কার্য্য-কলাপে হস্থক্ষেপ করিতে আসিতেন, সুতরাং ১৯৪২ সালের ডিসেম্বর মাসেই চরম সঙ্কট ঘনাইয়া উঠি। মালয়ে গঠিত আজাদ-হিন্দ ফৌজকে জাপানী সমর-কর্ত্তাদের আদেশ অনুসারে বার্ম্মায় স্থানান্তরিত করিতে কর্ম্ম-পরিষদ অস্বীকার করিল; জাপানীদের অন্যান্য অনেক দাবীও সরাসরি অগ্রাহ্য করা হইল।

 কর্ম্ম-পরিষদকে না জানাইয়া জাপানীরা ৮ই ডিসেম্বর অজাদ হিন্দ ফৌজের কর্ণেল এন. এস. গিলকে গ্রেপ্তার করিলে অবস্থা চরমে গিয়া পৌঁছে।

 এই সম্পর্কে জেনারেলমোহন সিং নিজে বলিয়াছেন; একদিন রাত্রে কয়েক জন জাপ সামরিক কর্ম্মচারী তাঁহার নিকট আসেন এবং কর্ণেল নিরঞ্জন সিংহ গিলকে গ্রেপ্তার করিতে চাহেন; কিন্তু তিনি তাঁহাকে তাহাদের নিকট সমর্পণ করিতে অসম্মত হন। তিনি বলেন, তাঁহার কোন অফিসার কোন অপরাধ করিলে তিনি সামরিক আদালতে তাঁহার বিচার করিবেন, কিন্তু তাঁহাকে তাহাদের নিকট সমর্পণ করিবেন না। ইহাতে জাপ সামরিক কর্ত্তৃপক্ষ বিরক্ত হন