পাতা:নেতাজী সুভাষ চন্দ্র - হেমেন্দ্রবিজয় সেন.pdf/১২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
নেতাজী সুভাষচন্দ্র
১০৯

 এই সময় মালয়-শাখাও প্রস্তাব করেন যে, শ্রীরাসবিহারী বসুকে এতদ্দ্বারা অনুরোধ করা যাইতেছে যে, তিনি প্রধান প্রধান বিষয়ে টোকিও-গভর্ণমেণ্টের মতামত ও নীতি কি, তাহা জানিতে সম্ভাব্য চেষ্টা করুন, এবং টোকিও-গভর্ণমেণ্টও ঘোষণা, বিবৃতি যা অন্য যে-কোন উপায়ে তাহা যত শীঘ্র সম্ভব প্রকাশ করুক। ইতিমধ্যে সঙ্ঘের কাজ পূর্ব্বের মতই চলিতে থাকিবে, কিন্তু টোকিও-গভর্ণমেণ্টের ঘোষণা বা বিবৃতির পরই নূতনভাবে অগ্রসর হওয়া যাবে।

 এই যখন অবস্থা, তখন ইয়াকুরো-কিকান আজাদ-হিন্দ সঙ্ঘকে হীনবল করিবার জন্য একটি প্রতিদ্বন্দ্বী দল গঠন করিল। উহার অফিসারগণ আজাদ-হিন্দ সঙ্ঘের বিরুদ্ধে গুপ্ত যুব-আন্দোলন গঠন করিতে লাগিলেন এবং নিজেরাও তাঁবেদার অনুচর লইয়া আজাদ-হিন্দ সঙ্ঘের বিরুদ্ধে ব্যাপকভাবে প্রচার কার্য্য এং মিথ্যা রটনা শুরু করিলেন।

 ১৯৪৩ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে মালয়-শখা-কমিটি তিন দিন মিটিং ও আলোচনার পর শ্রীরাসবিহারীর নিকট একটি স্মারকলিপি পাঠাইতে মনস্থ করেন; এই স্মারক লিপি যথাস্থানে পৌছিবার পূর্ব্বেই জাপানীরা গোপনে তাহা হস্তগত করিয়া লয়। তাহারা মালয়-শাখার সভাপতি শ্রী এন্. রাঘবন্‌কে পদত্যাগ করিতে বাধ্য করার জন্য শ্রীযুত রাসবিহারী বসুর উপর চাপ দিতে লাগিল। ফলে শ্রীরাঘবন্ পদত্যাগ করেন।

 উক্ত শাখার অন্যান্য সভ্যগণ বুঝিলেন যে, পদত্যাগই