পাতা:নেতাজী সুভাষ চন্দ্র - হেমেন্দ্রবিজয় সেন.pdf/১২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
নেতাজী সুভাষচন্দ্র
১১১

 বাংলার তথা ভারতের একজন জনপ্রিয় কংগ্রেস-নেতাকে লাভ করিয়া আজাদ-হিন্দ সঙ্ঘ এবং তদীয় বাহিনী নবপ্রাণসঞ্চারে চঞ্চল হইয়া উঠিল। ৫ই জুলাই সিঙ্গাপুরে আজাদ-হিন্দ ফৌজের কার্য্য-বিবরণী গৃহীত হয় এবং ঐ তারিখে উক্ত বাহিনীর গঠন-সংবাদ প্রকাশ্য ভাবে জগতে ঘোষণা করা হইল। উক্ত বিরাট জনসঙ্ঘকে সম্বোধন করিয়া সুভাষচন্দ্র সেদিন বলিয়াছিলেন,—

 “ভারতের স্বাধীনতার সেনাদল! আজ আমার জীবনের সবচেয়ে গর্ব্বের দিন। আজ ঈশ্বর আমাকে এই কথা ঘোষণা করার অপূর্ব্ব সুযোগ এবং সম্মান দিয়েছেন যে, ভারতকে স্বাধীন করার জন্য সেনাদল গঠিত হয়েছে।

 হে আমার সতীর্থগণ, সেনাদল! তোমাদের রণধ্বনি হোক্ —‘দিল্লী চলো, দিল্লী চলো!’ প্রাচীন দিল্লীর লাল কেল্লায় বিজয়োৎসব সম্পন্ন না করা পর্য্যন্ত আমাদের কর্ত্তব্য শেষ হবে না। মনে রেখো যে তোমাদের মধ্য থেকেই স্বাধীন-ভারতের ভাবী সেনানায়ক-দল গড়ে উঠবে।

 আজ আমার জীবনের সবচেয়ে বেশী গর্ব্বের দিন— একথা আমি বলেছি। পরাধীন জাতির পক্ষে স্বাধীনতা-সংগ্রামের সৈনিক হওয়ার চেয়ে বড় সম্মান এবং গৌরবের বিষয় অন্য কিছুই নাই। কিন্তু এই সম্মানের সঙ্গে সমপরিমাণ দায়িত্বও রয়েছে এবং সে দায়িত্ব সম্বন্ধে আমি সম্পূর্ণ সচেতন।

 আমি দৃঢ়তার সঙ্গে ঘোষণা করছি—আলোকে এবং অন্ধকারে, দুঃখে এবং সুখে, পরাজয়ে এবং বিজয়ে আমি