পাতা:নেতাজী সুভাষ চন্দ্র - হেমেন্দ্রবিজয় সেন.pdf/১৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১১২
নেতাজী সুভাষচন্দ্র

সর্ব্বদা তোমাদের পাশে-পাশে থাকব; বর্ত্তমানে তোমাদের আমি ক্ষুধা-তৃষ্ণা, দুঃখ-কষ্ট, দুর্গম অভিযান এবং মৃত্যু ছাড়া অন্য কিছু দিতে অসমর্থ।”

 সুভাষচন্দ্রের নেতৃত্ব গ্রহণের পর হইতে ঘটনাবলী দ্রুত অগ্রসর হতে থাকে। নারীগণও দলে-দলে আজাদ-হিন্দ সঙ্ঘের সভ্য হইতে থাকে। তাহাদের মধ্য হইতে স্বেচ্ছাসেবিকা বাছাই করিয়া শ্রীমতী লক্ষীর নেতৃহে ‘রাণী অফ্ ঝান্সী রেজিমেণ্ট’ গঠিত হইল। অনেক মহিলা রেড্-ক্রসের সভ্য হইলেন। ১৯৪৩ সালের অক্টোবরে সিঙ্গাপুরে এবং পরে রেঙ্গুণেও নারীদিগকে সামরিক শিক্ষায় শিক্ষিত করিবার জন্য দুইটি সামরিক শিক্ষা-বিদ্যালয় স্থাপিত হইল।

 সুভাষচন্দ্র ঝান্সীর রাণী-বাহিনীর প্রতিষ্ঠা করেন ১৯৪৩ সালে ২২শে অক্টোবর। ২২শে অক্টোবর ভারতের ইতিহাসে এক স্মরণীয় দিবস। কারণ ১৮৫৭ সালে, প্রথম যে স্বাধীনতা-সংগ্রাম সিপাহী-যুদ্ধ হহয়াছিল, তাহার অধিনায়িকা ঝান্সীর রাণী লক্ষীবাইএর জন্ম-তারিখ ছিল ২২শে অক্টোবর। সুভাষচন্দ্র সেই জন্য ঝান্সীর রাণী-বাহিনীর প্রতিষ্ঠা-দিবসও ২২শে অক্টোবর বাছিয়া লইয়াছিলেন।

 সুভাষচন্দ্র সেদিন বলিয়াছিলেন, “ঝান্সীর রাণী-বাহিনীর শিক্ষাকেন্দ্রের উদ্বোধন বিশেষ তাৎপর্য্যপূর্ণ ঘটনা। পূর্ব্ব-এসিয়ায় আমাদের আন্দোলনের অগ্রগতির পথে ইহা একটি স্মরণীয় কাহিনী। ইহার গুরুত্ব উপলব্ধি করিতে হইলে আমাদের একথা স্মরণ রাখিতে হইবে যে,