পাতা:নেতাজী সুভাষ চন্দ্র - হেমেন্দ্রবিজয় সেন.pdf/১৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
নেতাজী সুভাষচন্দ্র
১১৩

আমাদের আন্দোলন শুধু রাজনৈতিক আন্দোলন নয়, আমরা আমাদের দেশের পুনর্জীবনের মহান্ কাজে অবতীর্ণ হইয়াছি। আমরা ভারতের জন্য এক নবযুগ আনয়ন করিতেছি। কাজেই আমাদের নূতন জীবনের ভিত্তি হইবে সুদৃঢ়। স্মরণ রাখুন যে, ইহ ঢক্কা-নিনাদ নয়, আমরা ভারতের পুনর্জীবন আসন্ন দেখিতেছি। এই নবজাগরণ ভারতের নারীদের মধ্যেও স্বাভাবিক।

 আজ যে শিক্ষা-শিবিরের উদ্বোধন করা হইতেছে, তাহাতে আমাদের ১৫৬ জন ভগ্নী শিক্ষালাভ করিতেছেন। আমি আশা করি, শোনানে (অর্থাৎ সিঙ্গাপুরে) তাঁহাদের সংখ্যা শীঘ্রই এক হাজার হইবে। থাইল্যাণ্ড এবং ব্রহ্মদেশেও নারীশিক্ষা-শিবির স্থাপিত হইয়াছে; কিন্তু শোনানে হইতেছে কেন্দ্রীয় শিবির। আমার বিশ্বাস, এই কেন্দ্রীয় শিবিরে এক হাজার ‘ঝান্সীর রাণী’ প্রস্তুত হইবে।”

 নেতাজী সুভাষচন্দ্র কেবল নারী-বাহিনী গঠন করিয়াই ক্ষান্ত ছিলেন না, সমগ্র দেশে তখন স্বাধীনতার জন্য এরূপ বিপুল চাঞ্চল্য লক্ষিত হইল যে, বালক-বালিকাদের সমন্বয়ে একটি বাল-সেনাদলও গঠিত হইয়া উঠিল। ইহারা আত্মঘাতী সেনাদল হিসাবে কার্য্য করিত।

 ব্রহ্ম-রণাঙ্গণে এই কিশোর-কিশোরীগণ যে অদ্ভুত আত্মোৎসর্গের পরিচয় দিয়াছে, তাহা স্বাধীনতার ইতিহাসে চিরদিনই স্বর্ণাক্ষরে লিখিত থাকিবে।

 এই বাল-সেনাদলের প্রধান কাজ ছিল শত্রুর ট্যাঙ্ক ধ্বংস করা। তাহারা নিজেদের পিঠে মাইন বাঁধিয়া সহসা শত্রুর