পাতা:নেতাজী সুভাষ চন্দ্র - হেমেন্দ্রবিজয় সেন.pdf/১৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
নেতাজী সুভাষচন্দ্র
১১৫

 এই নীতিগত সুস্পষ্ট ঘোষণার ফলে আজাদ-হিন্দ সঙ্ঘ এবং আজাদ-হিন্দ ফৌজ নবশক্তিতে উজ্জীবিত হইল। দেশপ্রেমিক ভারতীয়গণ এই প্রতিষ্ঠান এবং এই বাহিনীকে সর্ব্বান্তঃকরণে স্বীকার করিয়া ইহাকে আরও শক্তিশালী করিবার জন্য সকল শক্তি-সামর্থ্য প্রয়োগ করিলেন। মালয়ে একটি সামরিক শিক্ষাকেন্দ্র খোলা হইল। ইহাতে পালাক্রমে এই সময়ে ৭০০০ জনকে করিয়া সামরিক শিক্ষাদানের ব্যবস্থা হইয়াছিল। ৭০০০ ব্যক্তি লইয়া একটি দল গঠিত হইত। এইরূপে দলে-দলে স্বেচ্ছা-সৈন্য শিক্ষিত হইতে লাগিল। ভারতীয় বাহিনী ও নন্-কমিশন অফিসারগণের মধ্য হইতে উর্দ্ধতন অফিসার বাছাই করিয়া শিক্ষাদানের ব্যবস্থা হইয়াছিল।

 নেতাজী সুভাষচন্দ্রের পরিচালনায় আজাদ-হিন্দ ফৌজ সমগ্র প্রাচ্যখণ্ডে এক বিরাট চাঞ্চল্যের ও উদ্দীপনার সৃষ্টি করিল। ভারতীয়গণ স্বেচ্ছা-প্রণোদিত হইয়া অকাতরে অবদান করিতে লাগিলেন। অর্থভাণ্ডার, সৈন্যবাহিনী, নানাপ্রকার জনহিতকর কার্য্য-কলাপ প্রভৃতি ক্রমশঃ ব্যাপকতা লাভ করায় একটি গভর্ণমেণ্ট স্থাপনের প্রয়োজনীয়তা অনুভূত হইল।

 সুতরাং সুভাষচন্দ্র একটি অস্থায়ী গভর্ণমেণ্ট গঠন করিলেন। ইহার নাম হইল ‘স্বাধীন-ভারত অস্থায়ী গভর্ণমেণ্ট’। তাঁহাকেই রাষ্ট্রের সর্ব্বপ্রধান অধিনায়ক করা হইল। ইহা ইংলণ্ডের বিরুদ্ধে যুধ্যমান সকল রাষ্ট্র-কর্ত্তৃক স্বীকৃত হইল। ঐ বৎসর ২৫শে অক্টোবর স্বাধীন-ভারত অস্থায়ী গভর্ণমেণ্ট