পাতা:নেতাজী সুভাষ চন্দ্র - হেমেন্দ্রবিজয় সেন.pdf/১৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
নেতাজী সুভাষচন্দ্র
১১৭

ছাড়া আন্দামান দ্বীপপুঞ্জ, সুমাত্রা, জাভা, বোর্ণিও, সেলিবিস দ্বীপপুঞ্জ, চীন, মাঞ্চুকুয়ো এবং জাপান প্রভৃতি স্থানেও ইহার অসংখ্য শাখা এবং অভাবনীয় প্রভাব বৃদ্ধি পাইয়াছিল।

 আজাদ-হিন্দ ফৌজের জন্য সৈন্য এবং সিভিল সার্ভিসের জন্য অফিসার সংগ্রহ করা হইত; কিন্তু ইহাতে কোন প্রকার জোর-জুলুম ছিল না।

 আজাদ-হিন্দ গভর্ণমেণ্টের অন্যতম সদস্য, লেঃ কর্ণেল এ. বি. চাটার্জ্জি মুক্তিলাভান্তে কলিকাতায় আসিয়া দেশপ্রিয়-পার্কে সমবেত জনতার সম্মুখে বলিয়াছেন,—

 “প্রত্যেক অফিসার, সৈনিক ও স্বেচ্ছাসেবক স্ব-ইচ্ছায়, নিজের স্বাধীন সম্মতিতে ইহাতে যোগদান করিয়াছেন। এই সংগঠনে কোন প্রাদেশিক বা সঙ্কীর্ণ ধর্ম্মভাব পর্য্যন্ত এতটুক ছিল না। এই সংগঠনে ব্যক্তিগত উন্নতির মানদণ্ড ছিল শুধু তাহার কর্মদক্ষতা ও যোগ্যতা —সে যে-কোন প্রদেশেরই হউক বা যে-কোন ধর্ম্মাবলম্বীই হউক কেন!

 সিঙ্গাপুরে যখন একবার টাকা তুলিবার কথা হয়, তখন সেখানকার চেটিয়ার সম্প্রদায় নেতাজীকে বলিয়া পাঠাইলেন—তাঁহারা টাকা দিতে রাজী আছেন, কিন্তু তাঁহাদের মন্দিরে গিয়া সেজন্য নেতাজীকে বলিতে হইবে।

 তখন নেতাজী বলিলেন—যে-কোন ধর্ম্মাবলম্বীই হউক, মানুষ ভগবানকে ডাকিতে পারে; কিন্তু কর্ম্মক্ষেত্রে, রাজনৈতিক ব্যাপারে, দেশের ব্যাপারে ধর্ম্মের সঙ্গে কোন সম্পর্ক নাই। তিনি মন্দিরে যাইতে রাজী আছেন, যদি তাঁহারা হিন্দু, মুসলমান, খৃষ্টান, শিখ-নির্ব্বিশেষে সকলকে তাঁহাদের মন্দিরে যাইতে অনুমতি দেন।