পাতা:নেতাজী সুভাষ চন্দ্র - হেমেন্দ্রবিজয় সেন.pdf/১৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
নেতাজী সুভাষচন্দ্র
১২৭

কয়েক সপ্তাহ পরিপূর্ণ উত্তেজনার মধ্যে তাঁহাদের এই বিচারপর্ব্ব শেষ হইয়া গিয়াছে।

 ভারতীয় বাহিনীর নিম্নলিখিত সাত জন অফিসারকে লইয়া সামরিক আদালত গঠিত হইয়াছিল।

 (১) মেজর-জেনারেল এ. বি. ব্ল্যাকল্যাণ্ড

 (২) ব্রিগেডিয়ার এ. এইচ. হার্ক

 (৩) লেফ্‌টেন্যাণ্ট কর্ণেল সি. আর. স্কট্

 (৪)  টি. আই. ষ্টিভেনসন

 (৫)  নাসির আলি খাঁন

 (৬) মেজর বি. প্রীতম সিংহ

 (৭)   বনোয়ারীলাল

 সরকারপক্ষে মামলা পরিচালনা করিয়াছিলেন অ্যাডভাকেট জেনারেল সার এন. পি. ইঞ্জিনিয়ার ও মেজর ওয়াল্‌স্। সার তেজ বাহাদুর সপ্রু ও শ্রীযুক্ত ভুলাভাই দেশাই অভিযুক্তদিগের পক্ষ-সমর্থন করিয়াছিলেন।

 দিল্লীর লালকেল্লাকে সংরক্ষিত অঞ্চল ঘোষণা করিয়া তন্মধ্যে সামরিক আদালতের কর্ম্মক্ষেত্র নির্দ্দিষ্ট হইয়াছিল।

 ক্যাপ্টেন শা নওয়াজ, ক্যাপ্টেন সাইগল ও লেফ্‌টেন্যাণ্ট ধীলন সামরিক আদালতে সম্রাটের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করিবার অভিযোগে অভিযুক্ত হইয়াছিলেন। লেফটেন্যাণ্ট ধীলনের বিরুদ্ধে নরহত্যার অভিযোগ এবং অপর দুই জনের বিরুদ্ধে নরহত্যার সহায়তার অভিযোগও আনা হয়।

 সামরিক আদালত সাব্যস্ত করিলেন যে, তিন জনই