পাতা:নেতাজী সুভাষ চন্দ্র - হেমেন্দ্রবিজয় সেন.pdf/১৪৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১২৮
নেতাজী সুভাষচন্দ্র

সম্রাটের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করিবার অভিযোগে অপরাধী। ক্যাপ্টেন শা নওয়াজ তদুপরি নরহত্যার সহায়তার অভিযোগেও অপরাধী সাব্যস্ত হইয়াছেন। ক্যাপ্টেন সাইগলকে নরহত্যার সহায়তা ও লেফ্‌টেন্যাণ্ট ধীলনকে নরহত্যার অভিযোগ হইতে অব্যাহতি দেওয়া হইয়াছে।

 বিচারে সামরিক আদালত তাঁহাদের সকলকেই যাবজ্জীবন দ্বীপান্তর দণ্ডে দণ্ডিত করেন এবং তাঁহাদিগকে চাকুরী হইতে বরখাস্ত করিবার ও তাঁহাদের প্রাপ্য বেতন ও ভাতা বাজেয়াপ্ত করিবার আদেশ প্রদান করেন। কিন্তু সামরিক আদালত কর্ত্তৃক প্রদত্ত দণ্ড বা রায় জঙ্গীলাট-কর্ত্তৃক অনুমোদিত না হইলে কার্য্যকরী হয় না। সুখের বিষয়, জঙ্গীলাট বাহাদুর অফিসারত্রয়ের প্রতি যাবজ্জীবন দ্বীপান্তর দণ্ডের আদেশ মার্জ্জনা করিয়াছেন; শুধু চাকরী হইতে বরখাস্ত ও ভাতা বাজেয়াপ্তের আদেশই বলবৎ রহিয়াছে

 দুঃখের বিষয়, প্রথম বিচার-পর্ব্বের ন্যায় অপর বিচারপর্ব্বগুলি শাসকবর্গের দূরদৃষ্টির পরিচায়ক বলিয়া মনে হয় নাই। দৃষ্টান্তস্বরূপ বলা যাইতে পারে, আজাদ-হিন্দ ফৌজের অন্যতম অভিযুক্ত সৈন্যাধ্যক্ষ ক্যাপ্টেন রসিদ সাত বৎসর কারাবাসের আদেশে দণ্ডিত হইয়াছেন। তাঁহার এই কঠোর দণ্ডে সমগ্র দেশব্যাপী—হিন্দু-মুসলমান সকলের হৃদয়েই যে ক্ষোভের সঞ্চার হইয়াছে, তাহা আত্মপ্রকাশ করায় স্থানে-স্থানে অতি চরম পরিণতি ও শোচনীয় দুর্ঘটনার সৃষ্টি করিয়াছে। সম্প্রতি ক্যাপ্টেন বুরহানউদ্দিনের