পাতা:নেতাজী সুভাষ চন্দ্র - হেমেন্দ্রবিজয় সেন.pdf/১৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

আট

বজ্রপাত

নেতাজীর মৃত্যু-সংবাদ·· বিভিন্ন ব্যক্তির শ্রদ্ধাঞ্জলি।

দুঃখের বিষয়, সমগ্র গৌরবে যিনি অধিকারী, —না জানি তিনি আজ কোথায়? জীবিত কি মৃত, এই প্রশ্ন সকলেরই বুকে আজ খুব বড় আকারে দেখা দিয়াছে! এ অশুভ প্রশ্নের একমাত্র কারণ, বিগত ১৯৪৫ সালের ২৩শে আগস্ট জাপানী নিউজ এজেন্সী সুভাষচন্দ্রের মৃত্যু-সংবাদ ঘোষণা করিয়াছেন।

 ১৯৪২ সালের মার্চ্চ মাসেও অনুরূপ এক গুজব রটিয়াছিল তখন প্রকাশ হইয়াছিল যে, ‘স্বাধীন-ভারত কংগ্রেসে’ যোগদানের জন্য টোকিও যাইবার পথে সুভাষচন্দ্র বিমান-দুর্ঘটনায় নিহত হইয়াছেন।

 মহাত্মা গান্ধীও এই সংবাদে মর্ম্মাহত হইয়া সুভাষচন্দ্রের আত্মীয়-স্বজনের নিকট সমবেদনা-পূর্ণ এক বাণী প্রেরণ করিয়াছিলেন। পরে যখন প্রতিপন্ন হইল যে এই সংবাদ মিথ্যা, তখন মহাত্মা তাঁহার বাণী প্রত্যাহার করেন; কিন্তু এইবার আর জাপানী নিউজ এজেন্সীর সংবাদ সঠিক ভাবে মিথ্যা প্রতিপন্ন হইতেছে না, দেশবাসীর পক্ষে ইহাই পরম বেদনার বিষয়।

 ১৯৪৫ খৃষ্টাব্দের ২৩শে আগষ্ট তারিখে জাপানী নিউজ এজেন্সী সুভাষচন্দ্র বসুর মৃত্যু-সংবাদ প্রচার করিয়াছেন।