পাতা:নেতাজী সুভাষ চন্দ্র - হেমেন্দ্রবিজয় সেন.pdf/১৫৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
নেতাজী সুভাষচন্দ্র
১৩৩

তিনি আকাশ-যান দুর্ঘটনায় আহত হইয়া এক জাপানী হাসপাতালে মারা গিয়াছেন বলিয়া জাপানী নিউজ এজেন্সী জানাইয়াছে।

 জাপ-গভর্ণমেণ্টের সহিত আলোচনা করিবার জন্য অস্থায়ী আজাদ-হিন্দ গভর্ণমণ্টের প্রধান কর্ত্তা সুভাষচন্দ্র বসু ১৯৪৫ সালের ১৬ই আগষ্ট তারিখে বিমানযোগে সিঙ্গাপুর হইতে টোকিও যাত্রা করেন; ১৮ই আগস্ট বেলা ২টার সময় তাইহোকু বিমানক্ষেত্রে তাঁহার বিমানখানি এক দুর্ঘটনায় পতিত হয় এবং তিনি গুরুতররূপে আহত হন। এক জাপানী হাসপাতালে তাঁহার চিকিৎসা হয়—কিন্তু সেখানে মধ্যপথেই তিনি মারা যান। লেফটেন্যাণ্ট জেনারেল সুনামাসা তৎক্ষণাৎ মৃত্যুমুখে পতিত হন এবং সুভাষচন্দ্র বসুর এড্‌জট্যাণ্ট হাবির রহমান ও অপর চারিজন জাপানী অফিসার দুর্ঘটনার ফলে আহত হন।

 জাপানী সূত্রে সুভাষচন্দ্র বসুর সম্পর্কে সর্ব্বশেষ সংবাদে ইতঃপূর্ব্বে জানা গিয়াছিল, জাপানীদের রেঙ্গুণ পরিত্যাগের শেষ দিনে তিনি রেঙ্গুণ ত্যাগ করেন এবং তাঁহার গভর্ণমেণ্ট ব্যাঙ্ককে স্থানান্তরিত হয়।

 কিন্তু এখনও বহুলোক তাঁহার মৃত্যু-সংবাদ বিশ্বাস করেন না। শিখিল ভারত কংগ্রেস-কমিটির সভায় যে সমস্ত বিশিষ্ট নর-নারী গত অধিবেশনের পর পরলোক গমন করিয়াছেন, শোক-প্রকাশের জন্য তাঁহাদের নামের দীর্ঘ তালিকার মধ্যেও সুভাষচন্দ্র বসুর নাম ছিল না। ইহা দেখিয়া জনৈক সদস্য ঐ