পাতা:নেতাজী সুভাষ চন্দ্র - হেমেন্দ্রবিজয় সেন.pdf/১৫৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৩৪
নেতাজী সুভাষচন্দ্র

বিষয়ে প্রশ্ন করিলে সভাপতি বলেন—“সুভাষবাবুর নাম অন্তর্ভুক্ত না করার কারণ এই যে, তাঁহার মৃত্যু-সংবাদ এখনও নিশ্চিতরূপে সমর্থিত হয় নাই। প্রকৃত সংবাদের অভাবে কাহারও মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করা ভাল দেখায় না।”

 সত্য হউক, মিথ্যা হউক, কাহারও মৃত্যু-সংবাদে পরম শত্রুও মিত্ররূপ ধারণ করিয়া অশ্রু-বিসর্জ্জন করে। মৃত্যুর হস্তপর্শে সমস্ত বিদ্বেষ ও শত্রুতা, বিভেদ ও কলহ—কোথায় দূরে সরিয়া যায়! দুর্ব্বল মানব-প্রাণ মৃত ব্যক্তির মঙ্গললাভের জন্য হাহাকার করিয়া কাঁদিয়া উঠে। এইটি চিরন্তন সত্য!

 সুভাষচন্দ্র চলিয়া গিয়াছেন; আজ তাঁহার জন্যও সমগ্র দেশ শোকে অভিভূত!

 তাঁহার মৃত্যুতে পণ্ডিত জওহরলাল নেহেরু বলিয়াছেন:—“আমি আমার এই পুরাতন এবং সাহসী সহকর্ম্মীর মৃত্যু-সংবাদে স্তম্ভিত হইয়াছি। ভারতের প্রতি তাঁহার ভালবাসা কাহারও অপেক্ষা কম নহে ভারতের এই মহৎ সন্তানের সহিত ঘনিষ্ঠভাবে মিশিবার সুযোগ আমার ১৯২০ খৃষ্টাব্দ হইতে হইয়াছিল এবং তাঁহার প্রতি আমার গভীর শ্রদ্ধা ছিল, ভারতের প্রতি তাঁহার অগাধ ভালবাসা এবং উদ্দেশ্যের সাধুতা সন্দেহের অতীত।”

 সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল বলিয়াছেন:—“ভারতের শ্রেষ্ঠ বীর সন্তান এবং দেশহিতব্রতীদের অগ্রণী সুভাষচন্দ্র বসুর ঘটনাবহুল জীবনের আকস্মিক অবসানে সমগ্র দেশ গভীর