পাতা:নেতাজী সুভাষ চন্দ্র - হেমেন্দ্রবিজয় সেন.pdf/১৫৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
নেতাজী সুভাষচন্দ্র
১৩৫

শোকে আচ্ছন্ন হইয়াছে। এমন কিছুই নাই, যাহা তিনি স্বাধীনতা-সংগ্রামের জন্য উৎসর্গ করেন নাই।”

 শ্রীমতী সরোজিনী নাইডু বলিয়াছেন:—সুভাষ মৃত; বহুবর্ণে চিত্রিত, অদ্ভুত এবং ঘটনাবহুল জীবননাট্যের শেষ বিয়োগান্ত দৃশ্য অভিনীত হইয়া গেল! বহু নর-নারীর নিকট তাঁহার মৃত্যু জাতীয় ক্ষতি নহে, পরন্তু ব্যক্তিগত শোকাবহ ঘটনা! তাঁহার উদগ্র গর্ব্বিত এবং প্রবল মনোবৃত্তি কোষমুক্ত জ্বলন্ত তরবারির মত দেশরক্ষায় নিযুক্ত ছিল। তাঁহার জীবন ও মৃত্যু স্বাধীনতার বেদীমূলে বলিদান ভিন্ন অন্য কিছুই নহে। তিনি তাঁহার দেশ ও দেশের লোকের জন্য জীবন বিসর্জ্জন দিয়াছেন—ইহা অপেক্ষা মহত্তর ভালবাসা আর কিছুই হইতে পারে না।”

 পট্টভি সীতারামিয়া বলিয়াছেন:—“সুভাষ বাবুর মত্যুসংবাদ আমাকে স্তম্ভিত কহিয়াছে। ভারতের মুক্তির জন্য তিনি নিজের পথ নিজে বাছিয়া লইয়াছিলেন; তজ্জন্য তিনি তাঁহার কংগ্রেস-সহকর্ম্মিগণের নিকট কম প্রিয় নহেন। যুদ্ধক্ষেত্রে তাঁহার অবস্থা পরিজ্ঞাত হইবার জন্য সকলেই ব্যাকুল ছিলেন। যদি তিনি মৃত্যুমুখে পতিত হইয়া থাকেন, তবে সেই ব্যাকুলতা দেশ ব্যাপী দুঃখ-বন্যায় তলাইয়া যাইবে! যদি তিনি জীবিত থাকেন, তবে তাঁহার চতুর্দ্দিকস্থ জ্যোতির্ম্মণ্ডল গভীর ও উজ্জ্বল হইয়া দেখা দিবে।”

 ডক্টর রাজেন্দ্রপ্রসাদ বলিয়াছেন:—“তাঁহার মৃত্যু দেশের পক্ষে একটি বিরাট দুর্ঘটনা। তাঁহার মত লোক কদাচিৎ