পাতা:নেতাজী সুভাষ চন্দ্র - হেমেন্দ্রবিজয় সেন.pdf/১৫৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৩৮
নেতাজী সুভাষচন্দ্র

তিনি নিজের বৈশিষ্ট্যপূর্ণ উপায়ে ভারতের স্বাধীনতা লাভের চেষ্টা করিয়াছিলেন। তাঁহার স্বার্থত্যাগ ও স্বদেশপ্রেমে তাঁহার প্রতি আমাদের বরাবর একটা শ্রদ্ধা ছিল। বসু-পরিবার অনেক ক্ষতি স্বীকার করিয়াছেন; আমি তাঁহাদের এই ক্ষতিতে আমার সমবেদনা জ্ঞাপন করিতেছি।”

 শ্রীমতী লাবণ্যপ্রভা দত্ত বলিয়াছেন:—“ভারতের শ্রেষ্ঠ স্বদেশপ্রেমিক সন্তান সুভাষচন্দ্র বসুর এইরূপ আকস্মিক ভাবে মৃত্যুর সংবাদে আমরা এরূপ শোকাভিভূত হইয়াছি যে, তাহা হইতে মুক্তিলাভ সুকঠিন। এইরূপ মৃত্যু বাস্তবিক শোকাবহ। ভারতের স্বাধীনতা-সংগ্রামের ইতিহাসে তাঁহার জীবন-বৃত্তান্ত একটি প্রয়োজনীয় অধ্যায়রূপে পরিগণিত হইবে।

 ডক্টর পি. এন্. ব্যানার্জ্জি বলিয়াছেন:—সমগ্র দেশ মাতৃভূমির অনুরক্ত সেবকের বিয়োগান্ত পরিসমাপ্তিতে শোক প্রকাশ করিবে।”

 শ্রীযুক্ত হরেকৃষ্ণ মহতাব্ বলিয়াছেন:—“মিঃ বসুর মৃত্যুতে সমগ্র ভারত শোক প্রকাশ করিবে। তাঁহার আত্মত্যাগ, মাতৃভূমির স্বাধীনতার জন্য জ্বলন্ত আগ্রহ, তাঁহার অসামান্য সঙ্ঘ-গঠনশক্তি—এই সমস্ত দেশের যুবকগণের সম্মুখে চিরকাল আদর্শ-স্বরূপ অবস্থিতি করিবে।”

 অধ্যাপক এন্. জি. রঙ্গ বলিয়াছেন:—“ভারতে যে সমস্ত বীর জন্মগ্রহণ করিয়াছেন, সুভাষ তাঁহাদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ। তাঁহার সাহস এবং অধ্যবসায় তাঁহার মহত্ত্বের প্রমাণ।”