পাতা:নেতাজী সুভাষ চন্দ্র - হেমেন্দ্রবিজয় সেন.pdf/১৬৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৪৬
নেতাজী সুভাষচন্দ্র

 ইনি আজাদ-হিন্দ ফৌজে যোগদান করিয়া নার্সের কার্য্য গ্রহণ করেন এবং শেষ পর্য্যন্ত ইহাতে ছিলেন। ইনি আজাদ-হিন্দ ফৌজের বিভিন্ন হাসপাতাল এবং এমন কি, সমরক্ষেত্রের কয়েকটি হাসপাতালেও কাজ করিয়াছেন। ইনি ঝান্সীর রাণী-বাহিনীতে সিপাহীর পদে ছিলেন। ইঁহার তিনটি পৌত্র বালসেনা-দলে যোগদান করিয়াছিল।

 নেতাজী সুভাষচন্দ্র এবং আজাদ-হিন্দ ফৌজের সকলেই তাঁহাকে ‘মাতাজী’ বলিয়া সম্বোধন করিতেন।

 ‘মাতাজী’ আনন্দবাজার পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টোরের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা-প্রসঙ্গে নেতাজী সুভাষচন্দ্র তাঁহার ফৌজের লোকদের কিরূপ গভীরভাবে ভালবাসিতেন এবং তাহাদের সেবার জন্য দারুণ বোমাবর্ষণের মধ্যেও কয়েক বার কিরূপভাবে নিজের জীবন বিপন্ন করিয়াছিলেন, তাহা ভাবাবেগে বর্ণনা করিয়াছেন।

 এরূপ ধরণের একটি দৃষ্টান্ত—যাহা তিনি স্বচক্ষে দেখিয়াছেন—বর্ণনা-প্রসঙ্গে মাতাজী বলেন যে, ব্রহ্ম-রণাঙ্গনে যুদ্ধের শেষ পর্য্যায়ে ব্রিটিশরা একবার রেঙ্গুণে মিয়ান হাসপাতালের উপর বোমাবর্ষণ করে। ইহা কতকটা কার্পেট-বোম্বিংয়ের ন্যায় হইয়াছিল; দুই বর্গমাইল স্থান জুড়িয়া বোমা বর্ষিত হয়। ঐ হাসপাতালের অতি নিকটেই মাতাজীর বাসগৃহ ছিল। শত-শত নাগরিক এবং আজাদ-হিন্দ ফৌজ এই বোমাবর্ষণের ফলে আহত হয়। নেতাজী আহতদের দেখিবার জন্য ছুটিয়া যান।

 এই সময় মাথার উপর আবার একদল বোমারু বিমান দেখা দেয় এবং ঐগুলি বোমাবর্ষণ করিতে থাকে। নেতাজীর গাড়ীটি একটি বোমার আঘাতে নষ্ট হইয়া যায়; কিন্তু নেতাজী তাহাতে কিছুমাত্র ভীত না হইয়া হাঁটিয়াই ঐ হাস-