পাতা:নেতাজী সুভাষ চন্দ্র - হেমেন্দ্রবিজয় সেন.pdf/১৭১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
নেতাজী সুভাষচন্দ্র
১৫১

স্বাধীন-ব্রহ্মের শাসনকর্ত্তা ডক্টর বা-ম’কে ভারতের স্বাধীনতা অর্জ্জনের জন্য সংগ্রামে সাহায্য-হেতু অভিনন্দিত করিয়াছেন। ইহাতে তিনি আরও জানাইয়াছেন যে, যে-কোন অবস্থায় আমরা, ভারতীয়েরা—স্বাধীন-ব্রহ্ম ও জাপানের পাশে দাঁড়াইয়া যুদ্ধ করিতে দৃঢ়সঙ্কল্প, যতক্ষণ না আমাদের সাধারণ শত্রু চূর্ণ হইয়া যায় এবং আমাদের জয়লাভ হয়।

 অন্য একখানি টলিগ্রামে সুভাষচন্দ জাপানী বৈদেশিক মন্ত্রী সিগামিৎসুর রাষ্ট্রপরিচালনা-নীতি ও কৌশলের প্রশংসা করিয়া বলিতেছেন যে, আমাদের পুরোভাগে দুঃসময় সত্ত্বেও আমরা জাপানের পাশে দাঁড়াইয়া আমাদের সাধারণ শত্রুর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করিব, যতক্ষণ না বিজয়লাভ করিতে পারি।”

 কিন্তু হতভাগ্য দেশ এই ভারতবর্ষ! নতুবা এত বড় একজন আদর্শ নেতা লাভ করিয়াও আমরা তাঁহাকে হারাইয়া বসিয়াছি। গতবারের জনশ্রুতির ন্যায়, এবারও যদি তাঁহার মৃত্যু-সংবাদ অচিরে মিথ্যা প্রমাণিত হয়, তবেই যা কিছু আশা ও সান্ত্বনা!

 সুভাষচন্দ্রের মৃত্যু-সংবাদ অবশ্য অনেকেই বিশ্বাস করেন না; বিভিন্ন জ্যোতিষীর গণনা যদি সতা বলিয়া গ্রহণ করা যায়, তাহা হইলেও বিশ্বাস করিতে হইবে যে, এখন তাঁহার মৃত্যু হওয়া অসম্ভব! কিন্তু নানা লোকের নানা বিশ্বাস ও মতবাদ, এবং নানা জ্যোতিষীর নানা ভবিষ্যদ্বাণী কি প্রামাণ্য বলিয়া আঁকড়াইয়া থাকা যায়? কাজেই সুভাষচন্দ্র আমাদের নাই, তাঁহাকে আমরা হারাইয়াছি, আজ এই কথাটাই যেন সত্য হইয়া বড় বেশী বেদনাদায়ক হইয়া উঠিয়াছে!

 আশার মধ্যে শুধু এইটুকু যে সম্প্রতি ভারতের নানাস্থান হইতে গুটিকয়েক সংবাদ রটিতেছে কেহ-কেহ নাকি নেতাজী সুভাষচন্দ্রকে ভারতবর্ষেই বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন অবস্থায় দেখিতে পাইয়াছেন! মার্কিণ সাংবাদিকও নাকি