পাতা:নেতাজী সুভাষ চন্দ্র - হেমেন্দ্রবিজয় সেন.pdf/১৭২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৫২
নেতাজী সুভাষচন্দ্র

সুভাষচন্দ্রের অগ্রজ শরৎচন্দ্রকে জানাইয়াছেন যে, নেতাজী জীবিত আছেন, ইহাই নাকি মার্কিন গোয়েন্দার অভিমত। যাঁহারা পূর্ব্বোক্তরূপ ঘোষণা করিয়াছেন, জানিনা তাঁহাদের সেই ঘোষণার মুল্য কতখানি! সুতরাং আশা ও নিরাশার দ্বন্দ্বে সমগ্র ভারতবর্ষ আজ বিভ্রান্ত ও মূহ্যমান! সকলেরই মনে এক প্রশ্ন—সুভাষচন্দ্র জীবিত কি মৃত?

 ইহার জবাব দিয়াছেন শ্রদ্ধাস্পদ সাহিত্যিক ও নেতাজী সুভাষচন্দ্রের গুণমুগ্ধ সুহৃদ্ শ্রীযুক্ত বিজয়রত্ন মজুমদার মহাশয়। তিনি বলিয়াছেন:—

 “সুভাষচন্দ্র জীবিত অথবা লোকান্তরিত, কেহ জানে না! আই. এন. এ.র (Indian National Army—আজাদ-হিন্দ ফৌজ) দৃঢ় বিশ্বাস, সুভাষচন্দ্র জীবিত; সুভাষচন্দ্রের দেশবাসী মনে করে, পরাধীন ভারতের চির-জাগ্রত আত্মার মত ভারতের মুক্তিকামী সুভাষচন্দ্র মৃত্যুঞ্জয়ী, অবিনশ্বর।

 কিন্তু তিনি জীবিত অথবা মৃত, তাহাতে কিছু আসে যায় না। গ্যারিবল্ডি কি মরিয়াছেন? শিবাজী কি মৃত? রাণা প্রতাপসিংহ চিরদিন অমর। জর্জ্জ ওয়াশিংটনের বিনাশ নাই। নেতাজী সুভাষচন্দ্রও চিরজীবী।

 শুধু ভারতের নয়, শুধু এসিয়ার নয়, পৃথিবীর যেখানে যে দেশে, যে কোন পরাধীন জাতি আছে, সেই খানেই, সেই দেশে, সেই মানব-সমাজের প্রত্যেকটি নরনারী সুভাষচন্দ্রের নামের পাদমূলে পুষ্পাঞ্জলি দিয়া ধন্য ও কৃতার্থম্মন্য হইবে।”

 আমরাও তাঁহাকে ভক্তিপ্লুত হৃদয়ে শ্রদ্ধানত শিরে আমাদের প্রণতি জানাইতেছি এবং তাঁহারই প্রদত্ত অমর বাণীতে তাঁহাকে সাদর সম্ভাষণ নিবেদন করিতেছি—“জয় হিন্দ! দিল্লী চলো!”

 কারণ, তাঁহার সেই দিল্লী-অভিযান আজও তো শেষ হয় নাই।

সমাপ্ত