পাতা:নেতাজী সুভাষ চন্দ্র - হেমেন্দ্রবিজয় সেন.pdf/৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
নেতাজী সুভাষচন্দ্র
২৭

বজ্‌রায় রাখা হয় এবং ডাক্তারী পরীক্ষা নিষ্পন্ন হয়। আড়াই বৎসরেরও অধিক কাল কারাবাসের পর ১৯২৭ খৃষ্টাব্দের ১৬ই মে তারিখে তাঁহাকে মুক্তি দান করা হয়।

 তাঁহার মুক্তিলাভের একদিন পরে কলিকাতা কর্পোরেশন সাদরে তাঁহার সম্বর্দ্ধনা করেন। ইহাও বিশেষ উল্লেখযােগ্য যে, কর্পোরেশন মহামতি সুভাষচন্দ্রকে ছুটি প্রদান করিয়াছিলেন। তাহা শেষ হইবার দুই দিন পরে তাঁহাকে মুক্তি দেওয়া হইয়াছিল। ঠিক দুই দিন পূর্ব্বে অস্থায়ী কর্ম্মসচিব মিঃ জে. সি. মুখার্জ্জি সুভাষচন্দ্রের স্থলে স্থায়ী প্রধান কর্ম্মসচিব নিযুক্ত হইয়াছিলেন।


জন-নায়ক

সাইমন-কমিশন বয়কট—মহাত্মার সহিত মতভেদ—কংগ্রেসের কলিকাতা-অধিবেশন—লাহাের-অধিবেশন—নানা সংশ্রবে সুভাষচন্দ্র—রাজনীতিক লাঞ্ছিতগণের দিবসে শােভাযাত্রা—নয়মাস কারাদণ্ড— ষ্টুডেণ্টস কনফারেন্স—স্বদেশী লীগ।

রোগশয্যা পরিত্যাগের পরই সুভাষচন্দ্র পুনরায় দুর্ভিক্ষপীড়িত জনপদে সাহায্য-প্রদানের চেষ্টায় অগ্রণী হইলেন। পুনরায় নির্ব্বাচন-প্রতিদ্বন্দিতা চালাইয়া দেশবন্ধুর আরব্ধ কার্য্য পূর্ণ করিবার জন্যও সুভাষচন্দ্র বদ্ধপরিকর হইলেন এবং দেশের সর্ব্বত্র স্বাধীনতার বাণী ঘােষণা করিয়া বেড়াইতে লাগিলেন।