পাতা:নেতাজী সুভাষ চন্দ্র - হেমেন্দ্রবিজয় সেন.pdf/৩৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
নেতাজী সুভাষচন্দ্র
২৯

মহাত্মা গান্ধী কোনদিনই এমন চরমপন্থী ছিলেন না। তিনি চাহিয়াছিলেন, আবেদন-নিবেদন ও আপোষ করিয়া যতটা আদায় করিয়া লওয়া যায় তাহাতেই পরিতৃপ্ত থাকিতে। সুতরাং সুভাষচন্দ্রের উগ্রপন্থা তিনি অনুমোদন করিতে পারিলেন না। তিনি বিশেষ চিন্তা করিয়া সুভাষচন্দ্রকে জানাইয়া দিলেন, “আমি এ কাজে ভগবানের কোন নির্দ্দেশ পাইতেছি না।”

 অবশ্য ইহাতে মহাত্মা গান্ধীকে কোন দোষ দেওয়া চলে না; কারণ, ইহার পূর্ব্বে পণ্ডিত মতিলাল নেহেরুর সভাপতিত্বে “নেহেরু-কমিটি” নামে একটি কমিটি গঠিত হইয়াছিল। ভারতবর্ষের আকাঙ্ক্ষা পূর্ণ স্বাধীনতা হইলে, সে পথ নিতান্তই বিপজ্জনক; সম্ভবতঃ ইহা ধারণা করিয়াই সেই কমিটি পূর্ণ স্বাধীনতা না মানিয়া, ঔপনিবেশিক স্বায়ত্বশাসনকেই তাঁহাদের ঈপ্সিত বস্তু বলিয়া মানিয়া লইয়াছিলেন। মহাত্মা গান্ধীও এই মতের অনুকূলেই ছিলেন।

 ১৯২৮ খৃষ্টাব্দে লক্ষ্মৌয়ে সর্ব্বদলের এক সম্মেলন হয়। তাহাতেও নেহেরু-কমিটির স্বায়ত্বশাসন-প্রস্তাবকেই ভারতের লক্ষ্য বলিয়া গৃহীত হইল। ইহাতে সুভাষচন্দ্র ও পণ্ডিত জওহরলাল ক্ষুব্ধ হইয়া ‘স্বাধীনতা-সঙ্ঘ’ নামে একটি ভিন্ন প্রতিষ্ঠান গঠন করিয়াছিলেন।

 সাইমন-কমিশনকে কেন্দ্র করিয়া জন-আন্দোলনের নেতৃত্ব ভার মহাত্মা গান্ধী গ্রহণ না করায় সুভাষচন্দ্র ব্যথিত হইয়া ফিরিয়া আসিলেন, কিন্তু মহাত্মার এই নিস্ক্রিয়তা একেবারেই