পাতা:নেতাজী সুভাষ চন্দ্র - হেমেন্দ্রবিজয় সেন.pdf/৫৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
88
নেতাজী সুভাষচন্দ্র

 স্বাধীনতা যাঁহার অস্থি-মজ্জায় এমন ভাবে মিশিয়া ছিল, সরকারী দম্ভ ও অত্যাচারকে তিনি যে ঘৃণিত ও পাশব কীর্ত্তি বলিয়া মনে করিবেন, তাহাতে আর সন্দেহ কি? সুতরাং সারা ভারতবর্ষে তখন সরকারী চণ্ডনীতি যেভাবে আত্মপ্রকাশ করিতেছিল, বিশেষতঃ বন্দিশালায় আবদ্ধ নিরস্ত্র রাজনৈতিক বন্দীদের উপর তখন স্থানে স্থানে যে সব অত্যাচার হইতেছিল, সুভাষচন্দ্র তাহা শুনিয়া অত্যন্ত ব্যথিত হন।

 নিরস্ত্র বন্দীদের উপর চূড়ান্ত অত্যাচার হইল হিজলী বন্দিশালায়। সেখানে বন্দীদের উপর বেপরোয়া লাঠিচালনা হইল—গুলিচালনা হইল। গুলিচালনার ফলে দুইজন রাজবন্দী নিহত হইলেন।

 সকলেই আশা করিয়াছিল, কংগ্রেস এই ব্যাপারে নিশ্চয়ই হস্তক্ষেপ করিবেন; কিন্তু কংগ্রেস তাহাতে বিশেষ কোন আন্দোলন করিলেন না।

 নিরস্ত্র বন্দীদিগকে গুলি করিয়া হত্যা করা যে কত নৃশংস ও মর্ম্মান্তিক, সুভাষচন্দ্র তাহা উপলব্ধি করিলেন। তথাপি কংগ্রেস বিশেষ কোন আন্দোলনের পক্ষপাতী নহে, তিনি ইহা লক্ষ্য করিয়া, প্রতিবাদে বঙ্গীয় প্রাদেশিক কংগ্রেস-কমিটির সভাপতির পদ ও কলিকাতা কর্পোরেশনের অল্‌ডারম্যানের পদে ইস্তফা দিলেন।