পাতা:নেতাজী সুভাষ চন্দ্র - হেমেন্দ্রবিজয় সেন.pdf/৫৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
নেতাজী সুভাষচন্দ্র
৪৭

সুভাষচন্দ্র—উভয়ে সমবেত ভাবে মহাত্মার এই কার্য্যের সমালোচনা করিয়া এক যুক্ত বিবৃতি প্রদান করেন।

 সুভাষচন্দ্রকে মিঃ পেটেল এতটা বিশ্বাস করিয়াছিলেন যে, ভারতের জাতীয় আন্দোলন পরিচালনার নিমিত্ত তিনি তাঁহার উইলে একটা বিপুল অর্থ সুভাষচন্দ্রের হস্তে ন্যস্ত করিবার নির্দ্দেশ দিয়া যান; কিন্তু সুভাষচন্দ্রের দুর্ভাগ্য, তিনি যেন চিরদিনই একটা সঙ্ঘবদ্ধ ষড়যন্ত্রের লক্ষ্যস্থল ছিলেন এবং এই পরাধীন দেশের স্বাভাবিক ক্লেদ-কালিমার ঊর্দ্ধে থাকিয়া তাঁহার জাতীয় উন্নতির কোন স্বপ্নকেই বাস্তবে রূপান্তরিত করিতে পারিবেন না! সুতরাং স্বার্থ-বিশিষ্ট ব্যক্তির নিয়োজিত কৌঁসুলীর আইনগত কূটতর্কে স্বর্গত পুণ্যশ্লোক মহাপুরুষ ভি. জে. পেটেলের সেই নির্দ্দেশ বাতিল হইয়া গেল— সুভাষচন্দ্রের হাতে কোন অর্থই আসিল না।

 ইয়োরোপ প্রবাস-কালে রুশিয়া, ইংলণ্ড ও আমেরিকার যুক্তরাষ্ট্রে গমন তাঁহার পক্ষে নিষিদ্ধ ছিল। লণ্ডনের ইণ্ডিয়ান রিপাব্লিকান অ্যাসোসিয়েশনের তাঁবে অনুষ্ঠিত লণ্ডন পলিটিক্যাল কন্‌ফারেন্সের সভাপতি-পদ গ্রহণের জন্য তাঁহাকে আহ্বান করা হইয়াছিল; কিন্তু অনুমতি না পাওয়ায় তিনি লণ্ডনে উপস্থিত হইতে পারেন নাই। তবে তাঁহার লিখিত অভিভাষণ উক্ত সভায় পাঠ করা হইয়াছিল। তাঁহার এই অভিভাষণ সামুদ্রিক শুল্ক-আইন অনুসারে ভারতে আসা নিষিদ্ধ।

 তাঁহার সুপ্রসিদ্ধ পুস্তক ভারতীয় সংগ্রাম (In Struggle} লণ্ডনের একটি পুস্তক-প্রকাশক কোম্পানী প্রকাশ