পাতা:নেতাজী সুভাষ চন্দ্র - হেমেন্দ্রবিজয় সেন.pdf/৬২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৫০
নেতাজী সুভাষচন্দ্র

 সেই বৎসরই মার্চ্চ মাসে তিনি ভারতবর্ষে প্রত্যাবর্ত্তনের সঙ্কল্প প্রকাশ করিলেন।

 তাঁহার উদ্দেশ্য ছিল, ভারতীয় জাতীয় মহাসমিতির লক্ষৌ-অধিবেশনে যোগদান করিয়া আন্দোলন সম্পর্কে আলোচনা করিবেন; কারণ, লক্ষৌ-অধিবেশনের সভাপতি পণ্ডিত জওহরলাল নেহেরু তাঁহাকে জানাইয়াছিলেন যে তিনি এই অধিবেশনে যোগদান করেন, ইহাই দেশবাসীর আকাঙ্ক্ষা।

 কিন্তু দেশবাসীর আকাঙ্ক্ষা হইলে কি হইবে, ভারত-গভর্ণমেণ্ট তাহাতে সম্মত হইলেন না; স্বদেশে ফিরিলেই তাঁহাকে গ্রেপ্তার করা হইবে, ইহা তাঁহারা প্রকাশ করিলেন। ভিয়েনার ব্রিটিশ কন সালের নিকট হইতেও তিনি অনুরূপ একখানি পত্র পাইলেন। এই পত্রে তাঁহাকে জানান হইল—তিনি মার্চ্চ মাসেই ভারতে প্রত্যাগমন করিবেন, সংবাদপত্রে এইরূপ মন্তব্য পাঠ করিয়া ভারত-গভর্ণমেণ্ট তাঁহাকে সুস্পষ্টভাবে জানাইতেছেন যে, যদি তিনি ভারতে প্রতাবর্ত্তন করেন, তবে হয়ত তিনি স্বাধীন ভাবে বিচরণ করিতে সমর্থ হইবেন না।

 এই পত্র পাঠ করিয়াও সুভাষচন্দ্রের সঙ্কল্প অচল-অটল রহিল। তিনি বুঝিলেন, দেশবাসীর আহ্বানে সাড়া দিতে গেলে গভর্ণমেণ্টের কোপদৃষ্টিতে পড়িয়া তাঁহাকে বন্দী জীবন যাপন করিতে হইবে।

 এখন এরূপ অবস্থায় কি করা কর্ত্তব্য?—কিন্তু কর্ত্তব্যনির্দ্ধারণ করিতে তাঁহার বেশী দেরী হইল না। যত বিপদ্‌ই