পাতা:নেতাজী সুভাষ চন্দ্র - হেমেন্দ্রবিজয় সেন.pdf/৬৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৫৬
নেতাজী সুভাষচন্দ্র

আপোষ-বিরোধী মনোভাব লইয়া, তাহা জোর করিয়া আদায় করিতে হইবে।

 দৃষ্টিপথের এই পার্থক্য-হেতু মহাত্মা গান্ধী ইত্যাদি ব্যক্তিগণ সুভাষচন্দ্রের নির্ব্বাচন পছন্দ করিলেন না, তাঁহারা নানাভাবে সুভাষচন্দ্রের বিরুদ্ধাচণে কুণ্ঠিত হন নাই। কিন্তু তাঁহাদের বিরুদ্ধাচরণ সত্ত্বেও গণভোটে সুভাষচন্দ্রই নির্ব্বাচিত হইলেন। তাঁহার এই নির্ব্বাচনে ইহাই প্রতীয়মান হইল যে, তিনি মহাত্মা গান্ধী অপেক্ষাও ব্যাপকভাবে দেশবাসীর হৃদয়-জয়ে সমর্থ হইয়াছিলেন।

 নির্ব্বাচন এত তীব্র হইয়াছিল যে, সুভাষচন্দ্র জয়লাভ করিলে মহাত্মা গান্ধী বলিয়াছিলেন, “ডাঃ পট্টভির পরাজয়ে আমার পরাজয় হইয়াছে!”

 কেবল তাহাই নহে, তিনি এমন ইঙ্গিতও করিলেন যে, যাহাতে মনে হয়, ওয়ার্কিং কমিটির সদস্যদিগের এখন পদত্যাগ করা সঙ্গত। ইহার ফলে ত্রিপুরীতে কংগ্রেস-অধিবেশনের পূর্ব্বেই প্রাক্তন ওয়ার্কিং কমিটির সভ্যগণ সুভাষচন্দ্রের নিকট পদত্যাগ পত্র দাখিল করিয়া পরিপূর্ণ অসহযোগিতা প্রদর্শন করিলেন!

 কংগ্রেসের এই জঘন্য ষড়যন্ত্র সম্পর্কে ও মহাত্মা গান্ধী সম্পর্কে—শ্রদ্ধাভাজন সাহিত্যিক শ্রীযুক্ত বিজয়রত্ন মজুমদার মহাশয় যাহা লিখিয়াছেন, তাহার কিছু-কিছু নিম্নে উদ্ধৃত হইল।—

 “১৯১৯ এবং তৎপরবর্ত্তী কালে—আজ পর্য্যন্ত, কংগ্রেস বলিতে গান্ধীজী এবং গান্ধীজী বলিতে কংগ্রেসকেই বুঝাইত