পাতা:নেতাজী সুভাষ চন্দ্র - হেমেন্দ্রবিজয় সেন.pdf/৭০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৫৮
নেতাজী সুভাষচন্দ্র

 অধিবেশনের সময় তাঁহার দেহের উত্তাপ এত বেশী হইল যে, ডাঃ হেনেসী তাঁহাকে পরীক্ষা করিয়া জব্বলপুর হাসপাতালে যাইবার পরামর্শ দিলেন। পণ্ডিত জওহরলালও সুভাষচন্দ্রকে সেই অনুরোধই করিলেন; কিন্তু সুভাষচন্দ্র তখন জাতীয় চিন্তায় উন্মাদ! ব্যক্তিগত চিন্তা-ভাবনা তাঁহার কাছে তখন তুচ্ছ। দৃপ্ত সিংহের ন্যায় তিনি গর্জ্জন করিয়া উঠিলেন, “আমি জব্বলপুর হাসপাতালে যাইবার জন্য এখানে আসি নাই। অধিবেশন শেষ হইবার পূর্ব্বে অন্যত্র স্থানান্তরিত হওয়ার অপেক্ষা আমি মৃত্যু বরণ করিতে চাই।”

 কিন্তু আশ্চর্য্যের বিষয়, সুভাষচন্দ্রের শারীরিক অবস্থা যখন এইরূপ এবং যে অবস্থার সাক্ষীদের মধ্যে ডাঃ হেনেসি এবং পণ্ডিত জওহরলালের নামোল্লেখ করা যাইতে পারে, সেই অবস্থাও গান্ধীজীর অনুবর্ত্তিগণ বিশ্বাস করিতে পারেন নাই—তাঁহারা ইহাকে পীড়ার ভান মনে করিয়াছিলেন! এ বিষয়ে বিজয় বাবু বলিয়াছেন:—

 “ইহাকে রাজনৈতিক অসুস্থতা বোধে হাসি-ঠাট্টার বিষয়ীভূত করা হইয়াছিল।”

 ত্রিপুরী-কংগ্রেসের অধিবেশন শেষ হইয়া গেল। সুভাষচন্দ্র মহাত্মাজীর আশীর্ব্বাদ ভিক্ষা করিলেন, তাঁহার সহযোগিতা প্রার্থনা করিলেন, তাঁহাকে কলিকাতায় আসিয়া ওয়ার্কিং কমিটির সদস্য নিযুক্ত করিতে অনুরোধ করিলেন; মোট কথা, তিনি কংগ্রেসের ঐক্য রক্ষার নিমিত্ত যথাসাধ্য চেষ্টা করিলেন; কিন্তু যখন কিছুতেই কিছু হইল না, ব্যক্তিগত