পাতা:নেতাজী সুভাষ চন্দ্র - হেমেন্দ্রবিজয় সেন.pdf/৭২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৬০
নেতাজী সুভাষচন্দ্র

 কংগ্রেসে সুভাষচন্দ্রের স্থান হইল না—সহানুভূতি দূরে বাক, অপমান ও লাঞ্ছনা তাঁহার মস্তকে শ্রাবণের ধারার ন্যায় বর্ষিত হইল,—তাই না সুভাষচন্দ্রের বিদ্রোহী-হৃদয় তাঁহার চিরদিনের স্বপ্ন সার্থক করিবার জন্য দূর-দূরান্তে ছুটিয়া গিয়াছিল!

 যা হোক্, বিদ্রোহী সুভাষচন্দ্র অনন্তর ১৯৪০ সালের ২৪শে মার্চ্চ তারিখে রামগড়ে আপোষ-বিরোধী সম্মেলনে সভাপতির পদ গ্রহণ করেন।

 জুন মাসে সুভাষচন্দ্র ভালহৌসী স্কোয়ারের উত্তর-পশ্চিম কোণে অবস্থিত হলওয়েল মনুমেণ্ট অপসারণের জন্য আন্দোলন আরম্ভ করিলেন। কারণ, হলওয়েল মনুমেণ্ট বাংলার শেষ স্বাধীন রাজা—নবাব সিরাজউদ্দৌলাকে দুরপণেয় কলঙ্ক-কালিমায় মণ্ডিত করিয়াছে; সুতরাং এই ঐতিহাসিক অসত্যের অপপ্রচারকে—একটা জাতীয় কলঙ্ককে—ধ্বংস করিবার নিমিত্ত তিনি হলওয়েল মনুমেণ্ট অপসারণের দাবী করেন, এবং তাহাই ক্রমে এক সঙ্ঘবদ্ধ ব্যাপক আন্দোলনে পরিণত হয়। সুভাষচন্দ্রের পরম কৃতিত্ব যে, সরকারকে অবশেষে সেই প্রস্তরীভূত জমাট মিথ্যার স্তম্ভকে অপসারিত করিতে হইয়াছে।

 এই আন্দোলন সম্পর্কে ২রা জুলাই তাঁহাকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং মহম্মদ আলী পার্কে বক্তৃতা প্রদান ও ফরওয়ার্ড-ব্লক পত্রিকায় ‘হিসাব-নিকাশের দিন’ শীর্ষক প্রবন্ধ প্রকাশের জন্য ২৮শে আগষ্ট তারিখে কারা-প্রাচীরের অন্তরালে—হাজতে