পাতা:নেতাজী সুভাষ চন্দ্র - হেমেন্দ্রবিজয় সেন.pdf/৭৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
নেতাজী সুভাষচন্দ্র
৬১

অবস্থিতি-কালে, তিনি অভিযুক্ত হন; কিন্তু জেলে তিনি অনশন-ব্রত আরম্ভ করায় ৫ই ডিসেম্বর তারিখে তাঁহাকে মুক্তি দেওয়া হয়।

 কারাগারে অবস্থিতিকালে ১৯৪০ খৃষ্টাব্দের ২৮শে অক্টোবর তারিখে, তিনি কেন্দ্রীয় পরিষদের সদস্য নির্ব্বাচিত হন, এবং তিনি পুনরায় সগৌরবে কলিকাতা-কর্পোরেশনের অল্‌ডারম্যান্‌ও নির্ব্বাচিত হইয়াছিলেন।

 তৎপর তাঁহার মুক্তি উপলক্ষে তাঁহাকে অভিনন্দন জানাইয়া ‘কলিকাতা মিউনিসিপ্যাল গেজেট’ লিখিয়াছিলেন, “আমরা জানি না কতদিন তিনি কারা-প্রাচীরের বাহিরে অবস্থান করিতে সমর্থ হইবেন। বর্ত্তমান বর্ষের বিভিন্ন সময়ে ও বিভিন্ন স্থানে বক্তৃতা প্রদান করায়, ভারতরক্ষা-আইনের দুইটি অভিযোগে তিনি অভিযুক্ত; এতদ্ভিন্ন তাঁহার ইংরেজী দৈনিক ‘ফরওয়ার্ড ব্লক’ পত্রিকায় ‘হিসাব-নিকাশের দিন’ (The Day of Reckoning’) শীর্ষক প্রবন্ধের জন্যও তাঁহাকে অভিযুক্ত করা হইয়াছে।”

 ৫ই ডিসেম্বর তারিখে মুক্তিলাভ করিয়া সুভাষচন্দ্র কলিকাতা এল্‌গিন্ রোড নিজের গৃহে ফিরিয়া আসিলেন; কিন্তু গভর্ণমেণ্টের সদা-সতর্ক প্রহরীর দল দিন-রাত তাঁহার বাটীর সম্মুখে ও চতুর্দ্দিকে তাঁহাকে ঘিরিয়া রহিল! তথাপি ১৯৪১ খৃষ্টাব্দের ২৬শে জানুয়ারী তারিখে সহসা সংবাদ রটিল, তিনি স্বীয় গৃহ হইতে অতি রহস্যজনক ভাবে নিরুদ্দেশ হইয়াছেন। কলিকাতা পুলিশ-কোর্টে তাঁহার বিরুদ্ধে যে