পাতা:নেতাজী সুভাষ চন্দ্র - হেমেন্দ্রবিজয় সেন.pdf/৭৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৬৪
নেতাজী সুভাষচন্দ্র

কোথায় যাইতে পারেন? না, তাহা কখনও সম্ভব?— কাজেই সম্ভব-অসম্ভব কত স্থানেই সুভাষচন্দ্রের অন্বেষণ আরম্ভ হইল!

 চতুর্দ্দিকে কড়া পাহারা—তাহার মধ্য হইতে একটা লোক বেমালুম অদৃশ্য হইয়া গেল! এল্‌গিন্ রোডের বাড়ীর ভিতর, বাড়ীর বাহিরে, সমগ্র পাড়ায় এবং অবশেষে সারা কলিকাতায় ও ভারতের সর্ব্বত্র-সুভাষচন্দ্রের অন্বেষণ আরম্ভ হইল; গোয়েন্দা বিভাগ ও বিশাল পুলিশ-বিভাগ, সকলেই কর্ম্ম-তৎপর হইয়া উঠিল।

 পুলিশের পক্ষে, তথা সারা শাসন-যন্ত্রের পক্ষে ইহা যে কত বড় লজ্জা ও পরাজয়, সকলেই তাহা মর্ম্মে-মর্ম্মে বুঝিতে পারিল। কিন্তু মর্ম্মে-মর্ম্মে অনুভব করিলেও তখন আর উপায় কি ছিল? সুভাষচন্দ্রের আত্মীয়-স্বজন ও অন্যান্য যাঁহারা সেই এলগিন্ রোডের বাড়ীতেই অবস্থান করিতেছিলেন, তাঁহারা সরকারী পুলিশী লাঞ্ছনার শত আশঙ্কায়ও বিশেষ কোন খবরই দিতে পারিলেন না।

 কেবল এইটুকু জানা গেল যে, ঘটনার কিছুকাল পূর্ব্ব হইতেই সুভাষচন্দ্র নির্জ্জনে নিঃসঙ্গ জীবন অতিবাহিত করিতেছিলেন। সুভাষচন্দ্র বিশেষ ভাবে সকলকেই তখন জানাইয়া দিয়াছিলেন, কেহই যেন তাঁহার কক্ষে প্রবেশ না করে; কাহারও নিতান্ত প্রয়োজন হইলে, তিনি সুভাষচন্দ্রের সঙ্গে টেলিফোনে আলাপ করিতে পারেন; কিন্তু কখনও কোন কারণেই তাঁহার সঙ্গে কাহারও সাক্ষাৎ হইবে না।