পাতা:নেতাজী সুভাষ চন্দ্র - হেমেন্দ্রবিজয় সেন.pdf/৯৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
নেতাজী সুভাষচন্দ্র
৭৭

ষ্টেশনে অপেক্ষা করিতেছিল; তিনি স্টেশনে পৌঁছিলেই গাড়ীখানি তাঁহাকে লইয়া নির্দ্দিষ্ট গন্তব্য স্থানের দিকে ছুটিয়া চলিল।

 এই সময় সুভাষচন্দ্রের বেশভূষা ছিল, একটি আঁটা পায়জামা, একটি শেরওয়ানী ও ফেজটুপী। মোট কথা, তাঁহাকে দেখিয়া একজন মৌলবী ব্যতীত আর কিছুই বুঝিবার উপায় ছিল না।

 পেশোয়ারে তাঁহাকে দুইদিন অবস্থান করিতে হইল। তাঁহার নির্দ্দিষ্ট বন্ধুবান্ধবগণ এরূপ সাবধানেই তাঁহাকে রাখিয়াছিলেন যে, কেহই কোন সন্দেহ করিতে পারিল না। অনন্তর তাঁহারা পরামর্শ করিলেন, “এখন কাবুল যাইতে হইলে, পেশোয়ার হইতে তাঁহার কোন্ বেশে যাওয়া উচিত হইবে?”

 স্থির হইল, যুক্তপ্রদেশের মৌলবীর সাজ এখন আর সুবিধাজনক হইবে না। আফগানিস্থানে যাতায়াত করিতে পাঠান বেশভূষাই স্বাভাবিক ও সহজ। সুতরাং ১৯শে জানুয়ারী তারিখে, যাত্রার পূর্ব্বক্ষণে সুভাষচন্দ্র পাঠানের পরিচ্ছদে সজ্জিত হইলেন।

 পূর্ব্বেই ঠিক ছিল, নওজোয়ান ভারত-সভার সেক্রেটারী শ্রীযুক্ত ভগৎরাম ও অপর একজন বন্ধু তাঁহার সঙ্গে যাইবেন। সুতরাং জিয়াউদ্দিনের সহচর-রূপে তাঁহাদেরও মুসলমান এবং পাঠান হওয়া সঙ্গত। কাজেই তাঁহারাও পাঠানী পোষাকে সজ্জিত হইলেন, এবং ভগৎরামের নূতন নাম হইল, রহমৎ খাঁ।

 এইভাবে সুভাষচন্দ্র ও ভগৎরাম, উভয়েই ছদ্মবেশে—