পাতা:নেতাজী সুভাষ চন্দ্র - হেমেন্দ্রবিজয় সেন.pdf/৯৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৮০
নেতাজী সুভাষচন্দ্র

ছেন। ইঁহাদের চরিত্রের জন্য আমি নিজে দায়ী। কেহই যেন ইঁহাদিগকে কোনভাবে বিরক্ত করিতে না পারে, এই ভরসায় আমি এই সার্টিফিকেট লিখিয়া দিতেছি।”

 লালপুরা হইতে দুইটি সশস্ত্র প্রহরী সঙ্গে লইয়া সুভাষচন্দ্র ও রহমৎ খাঁ কাবুলের পথে, কাবুল নদীর দিকে অগ্রসর হইলেন। কিন্তু কাবুল-নদীর তীরে পৌঁছিয়া তাঁহারা একেবারেই হতাশ হইয়া পড়িলেন। কারণ, নৌকা—নৌকা কোথায়? নৌকার কোন চিহ্নও সেখানে নাই। এক অপরূপ উপায়ে সেদেশে সকলে পারাপার হইয়া থাকে।

 কতকগুলি ভিস্তির মশক একসঙ্গে বাঁধিয়া তাহার উপরে জেলেদের একখানি জাল বিছাইয়া দেওয়া হইয়াছে। পারাপারের সময় লোকজন ঐ জালের উপর বসিয়া থাকে।

 সুভাষচন্দ্র ও রহমৎ ইহাতে অভ্যস্ত নহেন; সুতরাং এই বন্দোবস্তে তাঁহারা প্রথমে শিহরিয়া উঠিলেন। যাহা হউক, সাহসে নির্ভর করিয়া অগত্যা ঐ ভাবেই তাঁহাদিগকে কাবুলনদী অতিক্রম করিতে হইল।

 কাবুল-নদীর পরেই আফগান-রাজ্য। আফগান-রাজ্যের প্রবেশপথে পদে-পদে অসংখা বাধা। কেহ সেখানে সশস্ত্র ভাবে প্রবেশ করিতে পারে না; সুতরাং নদীর অপর তীরেই সশস্ত্র প্রহরী দুটিকে তাঁহাদের বিদায় দিতে হইল। ইহা ছাড়া, এখানে-সেখানে থানাতল্লাসীর বন্দোবস্তও রহিয়াছে; কিন্তু খানাতল্লাসীর কোন ব্যাপারই তাঁহাদের পক্ষে নিরাপদ নহে।