করেন। এবং রণোদ্যতের জননীকে এই শিশু রাজার অভিভাবক মনোনীত করেন। জ্যেষ্ঠা রাজমহিষী ত্রিপুরাসুন্দরী রণবাহাদুরের সঙ্গে কাশী গমন করিয়াছিলেন। গৃবাণ যুদ্ধ বিক্রম রাজা হইলে ছয় বৎসর বয়স্ক বালক রণোদ্যত শাহ তাহার চৌতুরিয়া অর্থাৎ প্রধান মন্ত্রীর পদে অভিষিক্ত হন। রণোদ্যতের জননী এই উভয় বালকের অভিভাবক ছিলেন। কাশীতে রণবাহাদুর জ্যেষ্ঠা রাজমহিষী ত্রিপুরাসুন্দরীর উপর অশেষ অত্যাচার করিতেন। অবশেষে ত্রিপুরাসুন্দরী কাশি ত্যাগ করিয়া নেপালে আসিতে মনস্থ করিলেন। ১৮০২ সালে তিনি নেপালের সীমায় পদার্পণ করিলে কনিষ্ঠা মহারাণী একদল সৈন্য তাহার গতিরোধ করিবার জন্য প্রেরণ করেন। তাহারা মহিষীর অনুচরবর্গকে বন্দী করিল। রাণী অগত্যা ফিরিয়া গেলেন। পর বৎসর আবার তিনি নেপালের পথে যাত্রা করিলেন। এবারেও তাহার বিরূদ্ধে সৈন্য সামন্ত প্রেরিত হইয়াছিল কিন্তু সৈন্যগণ অন্তরে ত্রিপুরাসুন্দরীর প্রতি অনুরক্ত ছিল। তাঁহার বিরুদ্ধাচরণ করা দূরে থাকুক, তাঁহাকে লইয়া সসৈন্যে তাহারা সহরে প্রবেশ করিল। কনিষ্টা রাজ্ঞী ভীত হইয়া শিশু রাজাকে লইয়া পশুপতিনাথের মন্দিরে আশ্রয় লইলেন। ত্রিপুরাসুন্দরী বালক রাজাকে আনিয়া সিংহাসনে বসাইয়া আপনাকে অভিভাবক বলিয়া ঘোষণা করিলেন। কনিষ্ঠা মহিষীও প্রকাশ্যভাবে সমুদায় ক্ষমতা জ্যেষ্ঠার হস্তে সমর্পণ করিয়া তাঁহার বশ্যতা স্বীকার করিলেন। ঠিক এই সময়েই কাপটেন নস্ক (Captain Knox)
পাতা:নেপালে বঙ্গনারী - হেমলতা দেবী.pdf/১১৪
অবয়ব
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৮২
নেপালে বঙ্গনারী।