বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:নেপালে বঙ্গনারী - হেমলতা দেবী.pdf/১১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৮৪
নেপালে বঙ্গনারী।

বলিলেন “মহারাজ! এমন সুযােগ ছাড়িবেন না, আপনি এই সৈন্যগণকে আপনার বশ্যতা স্বীকার করাইতে পারিলে চিরদিনের মত দামােদর পাঁড়ের ক্ষমতা চূর্ণ হইবে।” রণবাহাদুর ভীমসেনের প্ররােচনায় উত্তেজিত হইয়া নিজে সৈন্যদিগের সম্মুখীন হইয়া স্বীয় উষ্ণীষ উর্দ্ধে উত্তোলন করিয়া বলিলেন “আমার বিশ্বাসী গুর্খা সৈন্যগণ! তােমরা তােমাদের মহারাজকে চাও, না দামােদর পাঁড়ের অধিনায়কত্ব স্বীকার করিতে চাও, তােমাদের রাজা কে?” অমনি সৈন্যদল “জয় মহারাজাধিরাজ রণবাহাদুরের জয়” বলিয়া ঘাের জয়নাদে প্রাঙ্গন কম্পিত করিল। পতিপ্রাণা মহিষী ত্রিপুরাসুন্দরী মহারাজকে পরম আদরে গ্রহণ করিলেন। রণবাহাদুর আবার নেপালে তাঁহার সিংহাসনে আরােহণ করিলেন এবং অত্যাচার নিষ্ঠুরতায় আবার নেপালবাসীকে অস্থির করিয়া তুলিলেন। রণবাহাদুর রাজ্যে প্রবেশ করিয়াই দামােদর পাঁড়ে ও তাঁহার পুত্রকে কারারুদ্ধ করিলেন এবং শীঘ্রই ভীমসেন থাপার প্ররােচনায় দামােদর ও তাঁহার পুত্র এবং আরও অনেক পাঁড়েকে হত্যা করিলেন। রণবাহাদুরভীমসেন থাপাকে প্রধান মন্ত্রীর পদে অভিষিক্ত করিলেন। একটী বড় আশ্চর্য্য কথা যে, গৃবান যুদ্ধ বিক্রমকে রাজা বলিয়া অস্বীকার করিতে প্রজাগণ কেহই প্রস্তুত হইল না। তখন অগত্যা রণবাহাদুর স্বীয় পুত্রের অভিভাবক হইয়া রাজ্যশাসন করিতে লাগিলেন।

 অল্পদিনের মধ্যেই রণবাহাদুরের অত্যাচার অসহনীয় হইয়া