৮৬
নেপালে বঙ্গনারী।
পাঁড়েগণকেও হত্যা করা হইয়াছিল। এই রূপে প্রধান রাজ পুরুষদিগের দ্বিতীয় হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হইল।
মহারাণী ত্রিপুরাসুন্দরী ইংরাজদিগের বন্ধু ছিলেন না। ইংরাজদিগের সহিত, নেপালরাজ কোন সন্ধিসূত্রে আবদ্ধ ছিলেন না; অধিকন্তু গুর্খাগণ সর্ব্বদাই ইংরাজরাজ্যে অল্পাধিক অত্যাচার করিত। পিণ্ডারী দস্যুদলকে দমন করিবার জন্য ইংরাজ গবর্ণমেণ্ট বারম্বার নেপালরাজকে অনুরোধ করিয়াও কৃতকার্য্য হইতে পারেন নাই। দুর্ভেদ্য নেপাল রাজ্যে অনেক দস্যু আশ্রয়লাভ করিয়াছিল। এই সকল নানা কারণে ১৮১৪ খৃষ্টাব্দে নেপালের সহিত ইংরাজরাজ রণঘোষণা করিলেন। রণবাহাদুরের মৃত্যুর পর অমর সিং থাপা কুমায়ুন গাড়ওয়াল প্রভৃতি অধিকার করিয়া শতদ্রু পর্য্যন্ত নেপালরাজ্যের সীমা বৃদ্ধি করেন। এই যুদ্ধের পর নেপালরাজ ইংরাজদিগের সহিত সন্ধিসূত্রে আবদ্ধ হইতে বাধ্য হন। ১৮১৪ খৃষ্টাব্দে সিগাউলির সন্ধিতে নেপালের পশ্চিমাংশ ইংরাজের হস্তগত হইল। ১৮১৬ খৃষ্টাব্দে অনারেবল ই, গার্ডিনার (H. E. Gardiner) নেপালের রেসিডেণ্ট হইয়া আসিলেন। ইনিই প্রথম নেপালের রেসিডেণ্ট্। গার্ডিনার সাহেব আসিবার দুই মাস পরেই মহারাজ গৃবাণ যুদ্ধ বিক্রম সাহ ২১ বৎসর বয়সে বসন্তরোগে গতাসু হন। ১৮১৬ খৃষ্টাব্দে তাঁহার দুই বৎসর বয়স্ক পুত্র (৫) রাজেন্দ্রবিক্রম সাহ নেপালের সিংহাসনে আরোহণ করেন। পূর্ব্বের মহারাজদ্বয়ও শৈশবেই সিংহাসনে আরোহণ করিয়াছিলেন।