বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:নেপালে বঙ্গনারী - হেমলতা দেবী.pdf/১২৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৯২
নেপালে বঙ্গনারী।

রাজেন্দ্র বিক্রম তাঁহার কনিষ্ঠা মহিষী মহারাণী লক্ষ্মী দেবীকে রাজরক্ষয়িত্রী করিয়া সুরেন্দ্র বিক্রমকে রাজাধিরাজ করেন; কিন্তু নিজেও রাজপদে অভিষিক্ত থাকেন। অল্প সময়ের মধ্যেই লক্ষ্মী দেবী সকল ক্ষমতা আয়ত্তাধীন করিয়া স্বীয় জ্যেষ্ঠ পুত্রকে রাজাধিরাজ করিতে সচেষ্ট হন; কিন্তু চৌতুরিয়া এবং পাঁড়েগণ ইহার বিরোধী ছিলেন। লক্ষ্মী দেবী থাপাদিগের পক্ষপাতিনী ছিলেন। থাপাদিগের মধ্যে সর্ব্বাপেক্ষা ক্ষমতাবান্ পুরুষ মাতব্বর থাপা তখন বিদেশে ছিলেন। মহারাণী তাঁহাকে প্রধান মন্ত্রীর পদে অভিষিক্ত করিবার প্রলোভন দেখাইয়া নেপালে আনয়ন করেন। এই সময় তাঁহার ভ্রাতষ্পুত্র কাজি জঙ্গবাহাদুরও নেপালে আসিয়া উপস্থিত হইলেন। জঙ্গ বাহাদুর পরে নেপালের ভাগ্যচক্র কিরূপ আত্মবশ করিতে সক্ষম হইয়াছিলেন, তাহা সকলেই জানেন। মাতব্বর খাপা দেশে প্রত্যাবৃত্ত হইয়াই স্বীয় পিতৃব্য ভীমসেন খাপার হত্যাকারীদের উপর বৈরনির্য্যাতন করিতে আরম্ভ করেন। করবার পাঁড়ে, কুলরাজ পাঁড়ে, ইন্দ্রবীর থাপা, কনক সিংহ প্রভৃতিকে হত্যা করা হয়, এবং সমুদায় পাঁড়ে নেপাল হইতে বিতাড়িত হন। মাথব্বর থাপা প্রধান মন্ত্রীর পদে অভিষিক্ত হইয়া রাজা রাজেন্দ্র বিক্রম, রাজকুমার সুরেন্দ্র বিক্রম এবং মহারাণী লক্ষ্মী দেবী এই তিন ব্যক্তির তিনটী দোষ দেখেন। রাজা অতি অযোগ্য, অপদার্থ; কিন্তু চক্রান্তকারী অবিশ্বাসী, রাজকুমার প্রচণ্ড ক্রোধনস্বভাব,ও অমানুষিক নিষ্ঠুর। মহারাণী ক্রূরচক্রী এবং স্বীয় পুত্রকে রাজপদে অভিষিক্ত করিবার জন্য নিয়ত সচেষ্ট