চন্দ্রশামসের রাজমন্ত্রী হইয়াছেন। বর্ত্তমান সময়ে নেপালরাজ্যে ইনিও যে সর্ব্ব বিষয়ে সর্ব্বতােভাবে যােগ্যতম পুরুষ, তাহাতে আর সংশয় নাই। এই একটি মাত্র ব্যক্তির উপর নেপালের আপামর সাধারণ লােকের সুখ দুঃখ নির্ভর করে; এই একটি মাত্র ব্যক্তির দ্বারা নেপালরাজ্যের সর্ব্ববিধ কল্যান সাধিত হইতে পারে;—এই একটী মাত্র ব্যক্তি ১০ বৎসরে নেপালের যেরূপ শ্রীবৃদ্ধি সাধন করিতে পারেন তাহা ভারতে কুত্রাপি আর সম্ভব নয় —নেপাল স্বাধীন রাজ্য! আশার চিত্র যাহা তাহা আজও দৃশ্যতঃ এবং কার্যতঃ সুব্যক্ত হয় নাই। নেপাল এতাবৎকাল কেবল ব্যক্তি বিশেষের স্বার্থাভিসন্ধিতে নানা বিদ্রোহের লীলাভূমি হইয়াছে; যাহা হইতে পারে তাহা হয় নাই। মহারাজ চন্দ্রশামসের কাষ্ঠমণ্ডুর শ্রীবৃদ্ধি সাধনে তৎপর আছেন এখন কাটমণ্ডু সহর বৈদ্যুতিক আলােকে উজ্জ্বলতা প্রাপ্ত হইয়াছে।
এইরূপে অল্পাধিক পরিমাণে নেপালের সর্ব্বত্রই বাহ্যিক শ্রীবৃদ্ধি কিছু কিছু সাধিত হইতেছে, কিন্তু ভারতবর্যের প্রজাগণ ইংরাজরাজ্যে যে সকল সুখ সুবিধায় বাস করিতেছে নেপালে তাহার কিছুই নাই। ভারতের সনাতন অবস্থা কিরূপ ছিল, তাহা যদি কাহার দেখিবার সাধ থাকে ত নেপালরাজ্যে গমন করিলে হয়। গাড়ী নাই (নেপাল উপত্যকায় রাজপরিবারের আছে) রেল নাই—ত্বরিত ডাক নাই—টেলিগ্রাম নাই—ভাল স্কুল নাই—কলেজ নাই—বালিকাবিদ্যালয় নাই—রীতিমত আদালত নাই। আছে শ্রমজীবী কৃষক, আছে ভারবাহী মনুষ্য