নির্ণয় করে সাধ্য কার? বােধিসত্ত্বের এক তরবারির আঘাতে নাগবাস হ্রদ আজ রমণীয় উপত্যকায় পরিণত হইয়াছে; না জানি আবার কোন মহাত্মার তরবারির আঘাতে নেপালের সমুদায় কুরীতি পাপরাশি ধৌত হইয়া নেপাল ভূপৃষ্ঠে স্বর্গধাম বলিয়া কীর্ত্তিত হইবে। নেপালের আভ্যন্তরীণ আর কোন কুরীতির কথাই উল্লেখ করিতে চাই না—কেবল দাসত্ব প্রথা আর বহু পত্নীগ্রহণের রীতি, আমার নিকট জাতীয় অবনতির মূল কারণ বলিয়া বােধ হইয়াছে। শুনিতেছি বর্ত্তমান রাজমন্ত্রী অল্পে অল্পে এই উভয় প্রকার কুরীতি বর্জ্জন করিতে চেষ্টা করিতেছেন। নেপালের জনসাধারণের ভিতর শিক্ষার আলােক তেমন ভাবে বিস্তৃত হয় নাই। উচ্চপরিবারের রমণীগণ নিরক্ষর নহেন— তাঁহাদের মধ্যে কেহ কেহ সংস্কৃত শিক্ষা করেন। পুরুষগণ সামান্য ইংরাজি শিক্ষা করেন। কয়েকজন নেপালী যুবককে রাজমন্ত্রী শিক্ষার জন্য জাপানে প্রেরণ করিয়াছিলেন। আমাদের যেমন জীবিকার জন্য বিদ্যাশিক্ষা করিতে হয় নেপালে তাহা নয়, সুতরাং সেখানে শিক্ষার অবস্থাও তদ্রূপ। নেপালে কর্ম্মচ্ছলে অনেক বাঙ্গালী আছেন। তাঁহাদের মধ্যে কেহ বা ডাক্তার কেহ বা শিক্ষক। শ্রীযুক্ত রাজকৃষ্ণ কর্ম্মকার নামে একব্যক্তি বহুকাল হইতে নেপাল রাজসরকারে বন্দুক কামান প্রভৃতি নির্ম্মাণ করিয়া আসিতেছেন। বুদ্ধিজীবী বাঙ্গালির অপ্রতিহত গতি সর্ব্বত্র!
নেপাল রাজ্যে পদার্পন করিয়া, একদিন এই বলিয়া আনন্দ করিয়াছিলাম, যে আজ স্বাধীন দেশের স্বাধীন বায়ু আসিয়া