প্রত্যুষে চারিটার সময় উঠিয়া প্রাতঃকৃত ও পূজা সমাপন করিয়া তবে ঔষধ সেবন করিতেন।
মহারাণী সকল বিষয়ে আদর্শ পত্নী ছিলেন। তিনি কিরূপ প্রাণ মন দিয়া একান্ত চিত্তে পতির হিত সাধন ও সেবা শুশ্রূষা করিতেন, যাঁহারা তাহা প্রত্যক্ষ করিয়াছেন তাঁহারাই মুগ্ধ হইয়াছেন। নেপালের রমণীগণ স্বামীর পদোদক পান না করিয়া জলগ্রহণ করেন না, তাহাত তাঁহার নিত্যকর্ম্ম ছিল, যতদিন তাঁহার স্বাস্থ্য ভাল ছিল, ততদিন নিয়ত স্বামীর সেবা করিয়াছেন। রোগশয্যায় পড়িয়াও তিনি যে ভাবে স্বামীর সেবা শুশ্রূষার ব্যবস্থা করিতেন, তাহা শুনিলে বিস্মিত হইতে হয়। তাঁহার আহার নিদ্রার কোন অনিয়ম ও কোন ব্যাঘাত যাহাতে না হয় সর্ব্বদা সে বিষয়ে তীক্ষ্ণ দৃষ্টি রাখিতেন। স্বামী যথাসময়ে নিদ্রিত হইয়াছেন কিনা দাসীকে পাঠাইয়া তাহার তত্ত্ব লইতেন। অসুস্থ শরীরে শুইয়াও স্বামীর আহারের তত্ত্বাবধান করিতেন। পতির আরাম, পতির কল্যাণ তাঁহার হৃদয়ের নিত্য চিন্তার বিষয় ছিল। হিন্দু রমণী সাধারণতঃ পতিপ্রাণা, কিন্তু তিনি এ সম্বন্ধে পরাকাষ্ঠা দেখাইতে সক্ষম হইয়াছিলেন।
মহারাণী যেরূপ সাধ্বী ও পতিপ্রাণা ছিলেন, তাঁহার সুযোগ্য রাজপতিও তেমনি সর্ব্বতোভাবে তাঁহার প্রেমের গৌরব রক্ষা করিয়াছিলেন। তিনি পত্নীর জন্য যাহা করিয়াছেন, সেরূপ দৃষ্টান্তও অতি বিরল। বিধাতা তাঁহার গুণবতী পত্নীকে অতি উচ্চ প্রকৃতি ও প্রখর মেধা দিয়া এ জগতে পাঠাইয়াছিলেন সত্য,