যায় নাই, বরং কিছু লাভ হইয়াছে। তখন কাটমণ্ডুভীতি কিঞ্চিৎ প্রশমিত হইল। কিন্তু তখনও ভাবি নাই যে সেই কাটমণ্ডুতে এক দিন আসিতে হইবে।
জুলাই মাসের এক দিন রাত্রি প্রায় ১০টার সময় হাবড়া হইতে। রেলগাড়ী চড়িয়া নেপাল যাত্রা করিলাম। রাত্রি প্রভাত হইতে না হইতে মোকামা ঘাটে পৌঁছিলাম। ষ্টীমারে করিয়া গঙ্গা পার হইবার সময় গঙ্গার বক্ষে অরুণোদয় দেখিলাম। সে বড় সুন্দর দৃশ্য। গঙ্গা পার হইয়াই পুনরায় রেল গাড়ীতে আরোহণ করিলাম। উভয় পার্শ্বের দৃশ্য দেখিতে দেখিতে মজঃফরপুর, মতিহারী ইত্যাদি ছাড়িয়া বৈকালে শিগাউলি পৌঁছিলাম। এই সেই শিগাউলি, যেখানে ১৮১৬ খৃষ্টাব্দে ইংরাজ রাজের সহিত নেপাল রাজের সন্ধি হইয়াছিল। সেই দিন হইতে নৈনিতাল, মসুরি প্রভৃতি রমণীয় প্রদেশ সকল নেপাল-রাজের হস্তচ্যুত হইয়াছে। শিগাউলি হইতে অন্য রেলগাড়ীতে উঠিয়া দেখিতে দেখিতে সূর্যাস্তের সময় রক্সলে পৌঁছিলাম। ষ্টেশনটী অতি ক্ষুদ্র, একখানি গৃহ মাত্র বলিলেও হয়। এখানে ইংরাজ রাজ্যের সীমান্ত। ষ্টেশনেই দেখিলাম ছোট ছোট পানসীর মত কি পড়িয়া রহিয়াছে। এমন যান ত জীবনে কখনও দেখি নাই। জলপথ নয়। স্থলপথে এই নৌকায় চড়িয়া কিরূপে যাইব বুঝিতে পারিলাম না। শুনিলাম ইহার নাম কার্পেট। ইহার তলদেশ কার্পেটে আবৃত বটে। কার্পেটে শয্যা বিস্তৃত হইল। আমরা প্রত্যেকে ভিন্ন ভিন্ন কার্পেটে বসিলাম। অমনি চারিজন তাহা স্কন্ধে করিয়া লইল। তখন বুঝিলাম