পাতা:নেপালে বঙ্গনারী - হেমলতা দেবী.pdf/২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
কাটমুণ্ড।
১১

অভিহিত হইয়া থাকে। সহরের মধ্যভাগে পুরাতন রাজ প্রাসাদের সন্নিকটেই কাটমণ্ডু নামে এক কাষ্ঠের গৃহ অদ্যাবধি বিদ্যমান আছে। ১৬৯৬ খৃষ্টাব্দে রাজা লক্ষিণা সিংহ মল্ল ইহা ফকীরদিগের আবাসের জন্য নির্মিত করিয়াছিলেন। এই কাটমণ্ডু অর্থাৎ কাষ্ঠময় নিকেতন হইতে কাটমণ্ডু নামের উৎপত্তি। যদিও এই কাষ্টময় নিকেতন অত্যন্ত পুরাতন হইয়াছে, তথাপি ইহা এখনও ফকীরদিগের আশ্রয়রূপে দণ্ডায়মান আছে। কাটমণ্ডু বর্তমান গুর্খা রাজবংশের রাজধানী বটে, কিন্তু নেওয়ার রাজাদিগের রাজত্ব কালে পাটন, ভাতগাঁও, কীর্ত্তিপুর প্রভৃতি প্রধান সহর ছিল। এই সকল সহর পূর্ব্বে প্রাচীরবেষ্ঠিত ছিল, এবং ভিন্ন ভিন্ন দ্বার দিয়া সহরে প্রবেশের পথ ছিল। সচরাচর এই সকল দ্বার উন্মুক্ত থাকিত, কেবল যুদ্ধবিগ্রহ বা অন্য কোনরূপ বিশেষ কারণে রুদ্ধ হইত। বর্তমান সময়ে প্রাচীর বা প্রবেশ দ্বার সকলের কোন চিহ্ন নাই। গুর্খা রাজত্বকালে তাহা ক্রমে লোপ পাইয়াছে। এইরূপে কাটমণ্ডু সহরে প্রায় ৩২টী প্রবেশদ্বার। ছিল। যদিও প্রাচীর নাই কিন্তু সহরের সীমা নির্দ্দিষ্ট আছে। এই সীমার মধ্যে কোন নীচজাতীয় ব্যক্তির বাস করিবার অধিকার শাই। এবং আরও অনেক নিয়ম অদ্যাবধি প্রচলিত আছে। বাঘমতি এবং তাহার শাখা এই কাটমণ্ডু সহর বেষ্টন করিয়া প্রবাহিত হইয়াছে। সহরের ঠিক মধ্য ভাগে নেওয়ার রাজাদিগের পুরাতন প্রাসাদ হনুমান ঢোকা অদ্যাবধি দণ্ডায়মান আছে।

 বর্তমান সময়েও এই বিচিত্র প্রাসাদমালা হনুমানটোকা নামেই অভহিত হইয়া থাকে। সিংহদ্বারের সম্মুখে হনুমানের এক প্রকাণ্ড