পাতা:নেপালে বঙ্গনারী - হেমলতা দেবী.pdf/৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
কাটমুণ্ড।
১৫

 টুনিখিলের পশ্চিমদক্ষিণে কলিকাতার অকটারলনি মনুমেণ্টের অনুরূপ একটী মনুমেণ্ট দেখিতে পাওয়া যায়। ইহা সুবিখ্যাত রাজমন্ত্রী ভীমসেন থাপা নির্ম্মাণ করিয়াছিলেন। মনুমেণ্টের নিকটেই তাঁহার বাঘ দরবার নামে প্রাসাদ অদ্যাবধি আছে। টুনিখিলের পশ্চিম দিকে বীর হাঁসপাতালের সন্নিকটে আর একটি দ্রষ্টব্য স্থান আছে। ইহা মষ্কালের মন্দির। স্বয়ং রাণা মহারাজ ইহার সম্মুখ দিয়া কখন ইহাকে দর্শন না করিয়া গমন করেন না। মন্দিরটী অতি পুরাতন। সম্ভবতঃ বৌদ্ধগণ ইহা স্থাপন করেন। কিন্তু বর্ত্তমান সময়ে বৌদ্ধ হিন্দু সকলেই ইহাকে আপনার করিয়া লইয়াছেন। ইহার প্রভূত সম্পত্তি এবং বিস্তর উপাসক। বিগত পঁচিশ বৎসরের মধ্যে টুনিখিলের চতুর্দ্দিকের হর্ম্ম্যাবলীর দ্বারা সহরের সৌন্দর্য্য বিশেষরূপে বর্দ্ধিত হইয়াছে। আবহমান কাল হইতে টুনিখিল সৈন্যদিগের জন্য বিশেষ ভাবে ব্যবহৃত হইয়া আসিতেছে।

 প্রতিদিন সূর্য্যোদয় হইতে না হইতে এই স্থানে রণবাদ্য এবং কাবাজ খেলার সময় সৈন্যদিগের অস্ত্রের ঝণ ঝণ‍্ঝনা শ্রুত হইয়া থাকে। কারণ সৈনিক বিভাগই নেপাল রাজ্যের সমুদায় অর্থ সামর্থ্য গ্রাস করিয়া আসিতেছে। কিন্তু ইহাদিগের বাহ্যাকৃতি চাল চলন কোনরূপ বীরত্ব কিম্বা গৌরব ব্যঞ্জক নহে। কাটমণ্ডু সহরের প্রাসাদ সকলের সৌন্দর্য্য অপেক্ষা ইহার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য অধিকতর মনোেহারী। দুর্ভেদ্য প্রাকারের ন্যায় চতুর্দ্দিকের সুনীল উন্নত পর্ব্বতমালা উত্তর সীমায় দিগন্তপ্রসারিত হিমানীমণ্ডিত শিখর—