গুর্খাগণের চরণে, ধন, মান, সম্পদ, সকলই উৎসর্গীকৃত হইয়াছে। তাহাতে আর বিচিত্র কি? অধিকাংশ গুর্খা দেখিতে সুশ্রী। নেপালের উচ্চবংশের মহিলাগণ দেখিতে অত্যন্ত সুন্দরী।
ব্রাহ্মণদিগের আকৃতির পার্থক্য সহজেই বুঝিতে পারা যায়। ব্রাহ্মণগণ অপেক্ষাকৃত কৃশ, ক্ষিপ্র, এবং আর্যলক্ষণ যুক্ত। নেপালে যেমন বিচিত্র জাতির অধিবাস, কাটমণ্ডু ও সহরেও সেইরূপ বিচিত্রমূর্ত্তি মানবের সমাগম দেখিতে পাওয়া যায়। কেহ বা গৌরকান্তি দীর্ঘাকৃতি আর্য্য সন্তানের ন্যায়, কেহ বা বলিষ্ঠ দৃঢ় নাতিস্তুল নাতিদীর্ঘ পীতবর্ণ মঙ্গোলীয় বংশোদ্ভব অনুমান হয়। আকৃতি এবং বর্ণের বৈচিত্র দেখিলে বিস্মিত হইতে হয়। কেহ বা উজ্জ্বল গৌরকান্তি, কেহ বা শ্যাম, কেহ বা কৃষ্ণবর্ণ। তবে এ কথা বলিতে হয়, হিন্দুস্থানের কৃষ্ণকান্তি এখানে বিরল। অধিকাংশই অপেক্ষাকৃত উজ্জ্বল বর্ণের।
কি গুর্খা কি নেওয়ার স্ত্রী পুরুষের পরিচ্ছদ সুদৃশ্য এবং সুসঙ্গত। বাহ্যিক বেশ বিন্যাসে নেওয়ার এবং গুর্খার পার্থক্য কিছুই নাই। পাজামা, এবং চাপকানের ন্যায় এক প্রকার জামা, তার উপর সাদা কাপড়ের কোমরবন্ধ, মস্তকে একটা কাপড়ের টুপী, সাধারণ পুরুষদিগের বেশ এই প্রকার। তবে বর্ত্তমান বিলাতী সভ্যতার সংস্পর্শে অনেকের দেহে বিলাতী ছাঁটের কোট দেখিতে পাওয়া যায়। অত্যন্ত দীন দরিদ্র পথের ভিখারীর পর্যন্ত সমুদয় দেহ বস্ত্রাবৃত। তাহা শত ছিন্ন ধূলিধূসরিত হউক, কিন্তু অর্ধনগ্ন দেহ এ দেশের রাজপথে