এক আশ্চর্য্য কথা। বৌদ্ধশাস্ত্রানুসারে পরলোকে স্বর্গভোগের ব্যবস্থা নাই। বৌদ্ধের স্বর্গ নির্ব্বান বা পরমাত্মায় বিলীন হওয়া। এই প্রকার মুক্তজীব বৌদ্ধশাস্ত্রে বুদ্ধ নামে অভিহিত হয়।
বৌদ্ধ দেব দেবীগণ।
যে ধর্ম্মে কোন প্রকার পূজা অর্চ্চনা স্তব স্তুতির ব্যবস্থা নাই, সেই সাধনশীল ধর্ম্মেও অনেক দেব দেবীর আবির্ভাব হইয়াছে। আদিবুদ্ধ ইচ্ছাক্রমে পঞ্চবুদ্ধের সৃষ্টি করিয়াছেন। ইহাদিগের সহিত আদিবুদ্ধের পিতাপুত্রের সম্বন্ধ। ইঁহারা অমর বুদ্ধ বা দেববুদ্ধ। সে সকল মানবাত্মা স্বীয় চেষ্টায় জন্ম জন্মান্তরের পর নির্ব্বাণ লাভ করিয়াছেন তাঁহারাও মানবীয় বুদ্ধ। ইহারা পূজার্হ বটে, কিন্তু দেবতা নন। মহাযান সম্প্রদায়ভুক্ত বৌদ্ধদিগের মতে শাক্যসিংহ স্বয়ং মানবীয় বুদ্ধদিগের মধ্যে শেষ ব্যক্তি। সেই অবধি অন্য কেহ বুদ্ধত্ব লাভে সক্ষম হন। নাই। নিম্নে আদিবুদ্ধ হইতে যে পঞ্চবুদ্ধ প্রসূত হইয়াছেন তাহাদের তালিকা প্রদত্ত হইল;
আদিবুদ্ধ। | |||||||||||||||||||||||||||||
বৈরচন | অশ্বোভ | রত্নসম্ভূ | অমিতাভ | অমোঘসিদ্ধ | |||||||||||||||||||||||||
আদিবুদ্ধের সহিত এই পঞ্চবুদ্ধের পিতা পুত্র সম্বন্ধ।
বৈরচন যেন জ্যেষ্ঠভ্রাতা—সেই হেতু তিনি এবং চতুর্থ ভ্রাতা অমিতাভ পদ্মপাণির পিতা বলিয়া অধিক পূজা লাভ করেন। এই