পঞ্চবুদ্ধ হইতে আবার বোধিসত্ত্বগণ প্রস্তুত হইয়াছেন। এখানেও পঞ্চবুদ্ধের সহিত বোধিসত্ত্বগণের পিতাপুত্র সম্বন্ধ। এই বোধিসত্ত্বগণকে জন্ম দিয়া পঞ্চবুদ্ধ আদিবুদ্ধে লীন হইয়াছেন। এই বোধিসত্ত্বগণই দৃশ্যমান্ জগতের সাক্ষাৎ কর্ত্তা। পঞ্চবুদ্ধের সহিত পত্নীভাবে পঞ্চবুদ্ধ-শক্তি মিলিত হইয়া পঞ্চ বোধিসত্ত্বকে জন্ম দিয়াছেন। নিম্নে পঞ্চবুদ্ধ, বুদ্ধশক্তি এবং পঞ্চ বোধিসত্ত্বের তালিকা প্রদত্ত হইল;—
১। বৈরচন+বজ্রদন্তেশ্বরী—সামন্ত ভদ্র
২। অশ্বোভ+লোচনী—বজ্রপাণি
৩। রত্নসম্ভব+মামুখী—রত্নপাণি
৪। অমিতাভ+ পানদারা—পদ্মপাণি
৫। অমোঘসিদ্ধ+তারা—বিশ্বপাণি
৬। ব্রজসত্ত্ব+বজ্রসত্বামিকা—ঘণ্টাপাণি
নেপালে যে সকল বৌদ্ধ তান্ত্রিসাধনপ্রণালী গ্রহণ করিয়াছেন তাঁহারা পঞ্চবুদ্ধের সহিত বজ্রসত্ত্ব যুক্ত করিয়াছেন। নেপালের বৌদ্ধদিগের তান্ত্রিকসাধন গ্রহণ হিন্দুধর্ম্মের প্রভাবের অন্যতম প্রমাণ। তান্ত্রিকসাধনের সর্ব্বপ্রকার কুৎসিৎ অশ্লীলভাবও তাহারা গ্রহণ করিয়াছে কিন্তু গোপনভাবে এ সাধন সম্পন্ন হয় বলিয়া কদাচ কাহারো চক্ষে পড়ে না।
এই পঞ্চবুদ্ধ ভিন্ন সাতজন মানবীয় বুদ্ধ আছেন; তন্মধ্যে শাক্যসিংহ শেষ।
নেপালের বৌদ্ধাদগের মতে প্রথম তিন দেববুদ্ধ কার্য্যসমাধান